Homeএখন খবরঅব্যহত পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু মিছিল, এবার মারা গেলেন কর্নাটকের ২৯ বছরের তরুনী

অব্যহত পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু মিছিল, এবার মারা গেলেন কর্নাটকের ২৯ বছরের তরুনী

নিজস্ব সংবাদদাতা: পায়ে হেঁটে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রমের চেষ্টায় এবার মৃত্যু হল এক তরুনী শ্রমিকের। অনাহারে ওই তরুনী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই তরুনীর স্বামী। ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন কর্ণাটকের মূখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরয়াপ্পা। ঘটনার তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি । করোনা রুখতে ২১ দিনের জন্য দেশ লকডাউন করেছেন প্রধানমন্ত্রী আর এই লকডাউন এর ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। অনেকেই পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছেন। এবার হেঁটে বাড়ি ফেরার পথেই অনাহারে মৃত্যু হল কর্নাটকের এপাপের তরুণী পরিযায়ী শ্রমিকের।

বেঙ্গালুরুতে কাজ করতে এসেছিলেন কর্নাটকের রায়চুর গ্রামের ২৯ বছরের তরুণী গঙ্গাম্মা। লকডাউনের মধ্যে বাড়ি ফেরার প্রবল ইচ্ছা ছিল তরুণীর। তবে বাড়ি ফেরার পথে অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণীর বলেই অভিযোগ উঠেছে। লকডাউনের ফলে বহু শ্রমিক বেঙ্গালুরু ছাড়তে বাধ্য হন, তাঁদের মধ্যে গঙ্গাম্মা একজন ছিলেন। টাকা পয়সা না মিটেই মালিক তাঁকে ছাঁটাই করেছিল। তাঁর স্বামী অন্য একটি দলের সাথে আগেই রওনা হয়ে যায়। গঙ্গাম্মা ও তাঁর সঙ্গিরা ১লা এপ্রিল রওনা দেয়। বাড়ি ফেরার পথে ৫তারিখ তাঁরা এসে পৌঁছায় বেল্লারিতে। এখানে পুলিশ তাঁদের আটকায় এবং একটি ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়ে সে। তাঁর স্বামীর দাবি তবে দীর্ঘ সময় খেতে না পাওয়ার জন্যই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

লকডাউন এর পর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল সমস্ত রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের খাদ্য ও বাসস্থান দেওয়ার কথা। কিন্তু তারপরেও এই ঘটনা ঘটেছে। গঙ্গাম্মার অনাহারে মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক বলে জানিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী তরুণীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন অনাহারে মৃত শ্রমিকের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। স্থানীয় চিকিৎসকের দাবি হেপাটাইটিস সংক্রমন হয়েছিল ওই তরুনীর। মহিলার স্বামী ছাড়াও দুই সন্তান রয়েছে বলে জানা গেছে। পুরো ঘটনা ক্ষতিয়ে দেখছেন স্থানীয় প্রশাসন ।

RELATED ARTICLES

Most Popular