Homeএখন খবরইন্দোনেশীয় মৌলবীদের সংস্পর্শে আসা খড়গপুরের তিন মসজিদের ২ ইমাম সহ ৩জনকে কোয়ারেন্টাইনে...

ইন্দোনেশীয় মৌলবীদের সংস্পর্শে আসা খড়গপুরের তিন মসজিদের ২ ইমাম সহ ৩জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাল পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা: নজির বিহীন তৎপরতা পুলিশের। গতকাল ৭ ইন্দোনেশীয় মৌলবী ও তাঁদের সঙ্গে থাকা ২জন ভারতীয় মৌলবী তথা অনুবাদককে চিহ্নিত করে আটক করার পর কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়েছিল খড়গপুর পুলিশ। তখনই পুলিশ জানিয়েছিল করোনা সংক্রমন সম্ভবনা এড়ানোর জন্য ওই ৯জনের সংস্পর্শে এসেছে এমন লোকেদের চিহ্নিত করার জন্য একটি টীম গঠন করা হয়েছে। ২৪ঘন্টার মধ্যেই সেই টীম চিহ্নিত করল খড়গপুর শহরের দুই ইমাম সহ তিনজনকে যাঁরা তিনটি পৃথক মসজিদের দায়িত্বে রয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে এই তিনজনের মধ্যে খড়গপুর শহরের ৪নম্বর ওয়ার্ডের বায়তুল আমন মসজিদ ও বালুবস্তি এলাকার বিলাল মসজিদ এবং ৩নম্বর ওয়ার্ডের ইদগাহ মসজিদের দু’জন ইমাম ও এক দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি রয়েছে । উল্লেখ্য দিল্লির নিজামউদ্দিন মসজিদে অনুষ্ঠিত তাবলিগী জামাত ইজতেমা ধর্ম সম্মেলনের (১১-১৫ই মার্চ )পর ওই সাত ইন্দোনেশীয় মৌলবী ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে মুম্বাই ও আসানসোলের দুই মৌলবীকে সাথে নিয়ে পূর্বা এক্সপ্রেসে হাওড়া হয়ে খড়গপুরে এসেছিল। তারপর খড়গশহরের ওই তিনটি মসজিদে পর্যায়ক্রমে বেশকিছুদিন অবস্থান করেন ও সমবেত মুসলিম সমাজের মানুষদের সঙ্গে ধর্মালোচনার পর ২৭ তারিখ খড়গপুর লোকাল থানার সতকুই এলাকার একটি মসজিদে অবস্থান করছিলেন।

এখান থেকে তাঁদের আসানসোল হয়ে আরও কয়েকটি জায়গায় যাওয়ার কথা থাকলেও লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় আটকে যায় এরা। এদিকে দুদিন আগেই দেশ জানতে পারে যে এই তাবলিগী থেকেই বেশকিছু জায়গায় করোনা সংক্রমন ছড়িয়ে পড়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের। তারপরই শুরু হয়ে যায় তাবলিগীতে জমায়েত হওয়াদের খোঁজার তৎপরতা। পশ্চিমবঙ্গেও সেই তৎপরতা শুরু হয় কারন খবর ছিল এখান থেকেও বহুমানুষ গেছিলেন দিল্লির নিজামউদ্দিনের ধর্মসভায় আর ওই ধর্মসভা থেকে বেশকিছু বিদেশী মৌলবী বাংলায় ধর্মপ্রচারের জন্য এসেছে। তৎপর হয়ে ওঠে পশ্চিম মেদিনীপুর পুলিশও। এরপরই খোঁজ মিলে খড়গপুরের সতকুই মসজিদে অবস্থান করা ওই ৯ জনের।

বুধবার দুপুরে তাদের আটক করে সতকুইয়ের একটি অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পর রাতেই তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতার রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। রাজ্য সরকার ঠিক করেন নিজামউদ্দিন মসজিদের তাবলিগীতে যোগ দেওয়া সবাইকে এক জায়গায়, রাজারহাটে রাখা হবে। ইতিমধ্যেই সেখানে আরও বেশ কয়েকজনকে আনা হয়েছে।
এদিকে খড়গপুর শহর থেকে নিয়ে যাওয়া তিনজনকে আপাতত রাখা হয়েছে সতকুইয়ে অবস্থিত রাজ্য সরকারের কর্মতীর্থ ভবনটিতে তৈরি হওয়া অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রটিতে। স্বাস্থ্যকর্মীদের নিবিড় পর্যবেক্ষনে রয়েছে এরা। পাশাপাশি পুলিশের তৈরি করা সেই কমিটি ইন্দোনেশীয় মৌলবীদের সংস্পর্শে আর কারা কারা এসেছিলেন তার খোঁজ করছে। এদিনও পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে কোনও ধরনের কোনও আতংকের কারন নেই কারন সরকার সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিয়েই করোনা যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular