Homeরাজ্যকরোনায় আক্রান্ত বর্ষীয়ান বাম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী সহ ৩, উৎকন্ঠা আলিমুদ্দিনে

করোনায় আক্রান্ত বর্ষীয়ান বাম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী সহ ৩, উৎকন্ঠা আলিমুদ্দিনে

ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যে করোনার দাপট যে হারে বাড়ছে তাতে শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ নয়, একই সাথে মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছেন শাসক ও বিরোধী শিবিরের বহু জনপ্রতিনিধি৷ রাজ্যের পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। এবার মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী শ্যামল চক্রবর্তী। গত বুধবার থেকেই তিনি শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শ্বাসকষ্ট থাকার কারণে হাসপাতালের তরফে তাঁর করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর শুক্রবার সকালেই শ্যামল চক্রবর্তীর মেয়ে তথা অভিনেত্রী উষসী চক্রবর্তী সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ করোনা পজিটিভ।

জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিন যাবত জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন শ্যামলবাবু। এমনকি প্রস্রাবও অনিয়মিত হচ্ছিল। যেহেতু তিনি সিওপিডিতে আক্রান্ত ফলে পরিবারের তরফে প্রথমে মনে করা হচ্ছিল সিওপিডি থাকার কারণেই তাঁর শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছে৷ কিন্তু ক্রমশ শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকলে দেরি না করে বুধবার দুপুরে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে উল্টোডাঙার একটি বেসরকারি হাসপাতালে সিপিএমের প্রবীণ নেতা শ্যামল চক্রবর্তীকে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে তাঁর নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। এর পর তাঁর করোনা টেস্টও করা হয়। শুক্রবার সকালেই প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী তথা সিটু নেতা শ্যামল চক্রবর্তীর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর এদিনই তাঁকে বাসপাসের ধারে পিয়ারলেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জানা গিয়েছে, এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল।

তবে শুধুমাত্র শ্যামল চক্রবর্তীই নন বাম শিবিরের একের পর এক নেতা মারণ ভাইরাসের কবলে পড়ছেন। দিন কয়েক আগেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন শ্রমিক নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অনাদি সাহু। অনাদি সাহুর পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী আনবিকা গঙ্গোপাধ্যায়ও করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। একই সাথে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন চিকিৎসক ও বাম নেতা ফুয়াদ হালিম। জানা গিয়েছে, গোটা লকডাউনে ফুয়াদ হালিম কিড স্ট্রিটের নার্সিংহোমে শহরের দুঃস্থদের মাত্র ৫০ টাকায় ডায়ালিসিস পরিষেবা দিয়েছেন। এর জেরে লকডাউনের তিন মাস প্রতিদিন দু’বেলা রোগী দেখতেন এই জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের নেতা ফুয়াদ হালিম। এরপর গত কয়েকদিন আগে তিনিও মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, রোগী দেখার সময় নিশ্চয় কোনো রোগী উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত ছিল। সেখান থেকেই সংক্রমিত হয়েছেন ফুয়াদ হালিম। এছাড়াও কিছুদিন আগে বাম শিবিরে শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র তথা বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে ইতিমধ্যেই করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রাক্তন পুরমন্ত্রী। তবে বর্তমানে একই সাথে তিন বাম নেতার সংক্রমিত হওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয়েছে৷

RELATED ARTICLES

Most Popular