Homeএখন খবর৩ মাসের বিদ্যুৎ বিল ৮৮ হাজার টাকা, হতবাক বাড়ির মালিক! কাঠগড়ায় ওয়েস্ট...

৩ মাসের বিদ্যুৎ বিল ৮৮ হাজার টাকা, হতবাক বাড়ির মালিক! কাঠগড়ায় ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি কোম্পানি

ওয়েব ডেস্ক : লকডাউন পরবর্তীতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সেলিব্রিটি প্রায় প্রত্যেকেরই বিদ্যুতের বিল এসেছে লাগামছাড়া। বাদ পড়েননি খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রীও। ফের এমনি এক ঘটনার সাক্ষী থাকলো পুরুলিয়া। এক ব্যক্তির বাড়িতে প্রতিদিন প্রায় ৯৭ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে। তিন মাসে সেই বিল দাঁড়িয়েছে আকাশছোঁয়া। প্রায় ৮৮ হাজার টাকারও বেশি। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই হতবাক বাড়ির মালিক, শহর পুরুলিয়ার দেশবন্ধু রোডের বাসিন্দা তথা আইনজীবী স্বপনকুমার মজুমদার। ঘটনার পর পরই বিষয়টি স্টেশন সুপারিনটেনডেন্টকে জানিয়ে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু তাতে কোনোরকম কাজ হয়নি। এরপরই ঘটনায় পুরুলিয়া আদালতে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নামে মামলা দায়ের করেন ওই ব্যক্তি। তবে ইলেকট্রিসিটি কোম্পানি ছাড়াও এই এলাকার ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার-সহ পুরুলিয়া দেশবন্ধু রোডের কার্যালয়ের স্টেশন সুপারিনটেনডেন্টের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, গত ৩১ জুলাই ওই আইনজীবীর বাড়িতে মিটার রিডিং নিতে যায় ইলেক্ট্রিসিটি কর্মীরা। এরপর তাদের যে বিল দেওয়া হয় তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ বাড়ির মালিকের। তিন মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে মোট ৮৮,৬৩৬ টাকা। যা কিনা এযাবৎকালে সর্বোচ্চ। অর্থাৎ তিন মাসে নাকি মোট ৯০৯৫ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করেছে ওই পরিবার৷ এদিকে লকডাউনের আগে ওই পরিবার মাসে ১০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করত। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তাহলে কীভাবে মাত্র একমাসে বিদ্যুতের বিল একলাফে এত বাড়ল? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে চলতি মাসের ৪ তারিখ স্টেশন সুপারিনটেনডেন্টকে চিঠি লেখেন আইনজীবী স্বপনবাবু। তিনি সুপারিনটেনডেন্টকে আবেদন জানান, তাঁর মিটার খারাপ। তাই সেই মিটার যেন দ্রুত পালটে দেওয়ার ব্যবস্থা ক্রা হয়। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, এই বিল তাঁর পক্ষে মেটানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

এই ঘটনায় ওই আইনজীবীর অভিযোগ,সুপারিনটেনডেন্টের তরফে সেই চিঠির কোনও উত্তর বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি এখনও পর্যন্ত দেয়নি। সেই কারণেই এই বিষয়টি নিয়ে আইনী লড়াইয়ে মাঠে নামেন আইনজীবী। তিনি বলেন, “আমার ৮৮ হাজার টাকা বিল আসতেই পারে না। খুব সাধারন ভাবে আমার বাড়িতে প্রতিদিন ১০ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হয়। অথচ বিলে এসেছে ৯৭ ইউনিট! তাই আমি স্টেশন সুপারিনটেনডেন্টকে অতীতের বিদুৎ বিলের নথিপত্র-সহ বিষয়টি জানাই। মিটার বদলে দিতে বলি। কিন্তু তাদের তরফে কোনও হেলদোল না দেখায় আদালতে মামলা করতে বাধ্য হই।” প্রসঙ্গত, আগস্টের ১২ তারিখ স্বপনবাবুর বিল জমা দেওয়ার কথা ছিল। নতুন বিল অনুযায়ী ৮৮ হাজার ৬৩৬ টাকার বিলের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিমাসে তাকে ২৯ হাজারের বেশি টাকা দিতে হত। কিন্তু তিনি এখনও পর্যন্ত বিল মেটাননি। তবে গোটা ঘটনা শোনার পর এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছেন বলে জানান রিজিওনাল ম্যানেজার সন্দীপ সাহানা।

RELATED ARTICLES

Most Popular