ওয়েব ডেস্ক : ট্রেন চালু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই ট্রেন গুলিতে অসম্ভব ভিড়। এর জেরে যাত্রীদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর তরফেও রেলের কাছে ট্রেন বাড়ানোর আবেদন জানানো হয়। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেলে রেল-রাজ্যের বৈঠকে ‘প্রায় ১০০ শতাংশ’ ট্রেন চালানোর বিষয়ে আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার। বৈঠক শেষ হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পূর্ব রেলের তরফে জানানো হল, শুক্রবার ১৩ নভেম্বর থেকে সকাল এবং সন্ধ্যায় অফিস টাইমে ৯৫ % লোকাল ট্রেন চালাবে রেল।
বুধবার থেকে রাজ্যে চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। সে অনুযায়ী প্রথমদিকে ১০% ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হলেও পরে রাজ্য রেল বৈঠকে রাজ্যের আবেদনে প্রাথমিকভাবে সারাদিনে ৪৫ % ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু ৪৫% ট্রেন চালালনোর পরিকল্পনা করা হলেও ভিড় রুখতে অফিস টাইমে অবশ্য প্রায় ৭৫ % ট্রেন চালানো হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, হাওড়া ডিভিশনে ২০২ টি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত হলেও অফিস টাইমে যাতে কোনোমতেই ভিড় না বাড়ে সেকারণে ভিড় সামাল দিতে বুধবার আরও ১০০ টি ট্রেন বেশি চালানো হয়। কিন্তু ৭৫% ট্রেন চালানো সত্ত্বেও প্রতিদিন ভিড় যেভাবে বাড়ছে, তাতে স্বাভাবিকভাবেই করোনা সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করে বিভিন্ন মহল থেকে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এর জেরেই বৃহস্পতিবারের বৈঠকে বাড়তি ট্রেন চালানোর জন্য রেলের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, করোনার সংক্রমণ রুখতে এবং যাত্রীরা যাতে সাবধানে যাতায়াত করতে পারেন, সেকথা মাথায় রেখে ‘যতটা সম্ভব’ নিজেদের পরিষেবা বাড়ানোর পক্ষে একমত হয়েছে পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “সমন্তরালভাবে আমরা সবধরনের সহায়তা প্রদান করব এবং ওরা নিজেদের পরিষেবা বাড়াবে।” এবিষয়ে পূর্ব রেলের চিফ অপারেশনাল ম্যানেজার ইউ কে বল বলেন, “১১ নভেম্বর থেকে ট্রেন চালানোর অভিজ্ঞতায় যা বুঝেছি, অফিস টাইমে যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। সেই মোতাবেক আমরা সূচিতে থাকা কমপক্ষে ৯৫ শতাংশ ট্রেন চালানোর চেষ্টা করব। তবে সকাল এবং সন্ধ্যার ব্যস্ত সময় তা বাড়িয়ে প্রায় ১০০ শতাংশ করার চেষ্টা করব।” পাশাপাশি জানানো হয়, শুক্রবার থেকেই পূর্ব রেলের শিয়ালদহ এবং হাওড়া ডিভিশনে অফিস টাইমে ৯৫ শতাংশ ট্রেন চালানো হবে। তবে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ক্ষেত্রে এখনই লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।