Homeএখন খবরমর্মান্তিক দুর্ঘটনা হলদিয়া বন্দরে! জাহাজ থেকে দু'দুবার জলে পড়ে তলিয়ে গেলেন বিদেশি...

মর্মান্তিক দুর্ঘটনা হলদিয়া বন্দরে! জাহাজ থেকে দু’দুবার জলে পড়ে তলিয়ে গেলেন বিদেশি নাবিক, ২৪ ঘন্টা পরেও খোঁজ নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রথম বার উদ্ধার করার পরও দ্বিতীয় বার পড়ে গেলেন জলে আর এবারই সম্ভবতঃ সব শেষ! ২৪ ঘন্টা পরেও উদ্ধার হয়নি দেহ তাই বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছেন বন্দরের আধিকারিকরা। শুক্রবারবার রাত ১০ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া বন্দরের ৯ নম্বর বার্থে। পণ্য বোঝাইয়ের পরই জাহাজ ছাড়ার প্রস্তুতি পর্বেই একটি বিদেশি জাহাজ থেকে ডকের গভীর জলে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হলেন জাহাজের সেকেন্ড অফিসার পদমর্যাদার এক নাবিক।
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ নাবিকের নাম সান উ। মায়ানমারের ওই নাবিকের বয়স ৩৪বছর। বন্দরের ৯নম্বর বার্থে ওই জাহাজে আয়রণ ওর অর্থাৎ লৌহ আকরিক বোঝাই করা হয়েছিল। এরপর পূর্ব এশিয়ার একটি দেশের দিকে রওনা হওয়ার কথা ছিল ‘গ্লোবাল হোপ’ নামের ওই জাহাজটির। নিয়ম অনুযায়ী পণ্য বোঝাইয়ের পর জাহাজের ডক ছাড়ার পূর্বে বন্দর বা ডকের গভীরতা মাপতে হয়। আর সেই কাজে একটি বিশেষ ধরনের দড়ির সিঁড়ি বা ডাফ্ট ল্যাডারে চেপে নাব্যতা সার্ভে করতে নেমেছিলেন। এটা জরুরি এই কারনে যে পণ্য সহ জাহাজ জলের কতটা গভীরতায় রয়েছে তা জানলে জাহাজ চালানোর সুবিধা হয় এবং যাত্রাপথের কোনও চড়ায় জাহাজের তলদেশ লেগে যেতে পারে কিনা ইত্যাদি পরিমাপ করা যায়। সেই দড়ির সিঁড়ি বেয়ে নামার সময় কোনওভাবে পা ফসকে তিনি পড়ে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ঘটনাটি দেখতে পেয়েই দ্রুত ঘটনা স্থলে ছুটে আসে ট্যাগ ভেসেল বা ছোট ছোট যন্ত্রচালিত নৌকা যাদের কাজই হল ডক বা জাহাজ থেকে কোনও কিছু পড়ে গেলে তা উদ্ধার করা এবং জাহাজ গুলিকে বন্দরের পথে গাইড করা। সেই ট্যাগ ভেসেল উদ্ধার করে ওই নাবিককে। তাঁকে বার্থের পথে নিয়ে আসা হচ্ছিল কিন্তু দুর্ভাগ্য বশত ফের তিনি জলে পড়ে যান এবং এরপর তাঁকে আর এখনও অবধি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান বন্দরেরর আধিকারিকরা। তড়িঘড়ি করে নামানো হয় ডুবুরি। সকাল পর্যন্ত ওই নাবিকের খোঁজ মেলেনি।
কিন্তু একজন কিভাবে দ্বিতীয় বার জলে পড়ে গেলেন আর কেনই বা তাঁর শরীরে লাইফ জ্যাকেট জাতীয় কিছু ছিলনা? বন্দরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, খুব সম্ভবতঃ প্রথমবার উদ্ধার পাওয়ার পরও ঘটনার অভিঘাতে ভেসেলে বসেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন অথবা অন্য কোনো কারণে তিনি অচেতন হয়ে পড়ে যান আর সেই কারণেই নিশ্চল হয়ে বন্দরের অতল গভীরতায় তলিয়ে গেছেন। পেশাদারি পোশাকের কারণেই জামা জুতো ইত্যাদি এঁদের এতটাই ভারি ছিল যে সহজেই তলিয়ে গেছেন। লাইফ জ্যাকেটও এক্ষেত্রে কাজ করেনি। বন্দরের প্রশাসনিক জেনারেল ম্যানেজার প্রবীণ কুমার দাস জানিয়েছেন, “আমরা এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ওই নাবিকের দেহের সন্ধান পেতে।”

RELATED ARTICLES

Most Popular