Homeএখন খবরদীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে আদালতে জামিন পেলেন 'আরামবাগ টিভি'র সম্পাদক ও সাংবাদিক

দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে আদালতে জামিন পেলেন ‘আরামবাগ টিভি’র সম্পাদক ও সাংবাদিক

 

ওয়েব ডেস্ক : গত জুলাই মাসের শেষের দিকে তোলাবাজি সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল ‘আরামবাগ টিভি’ নামক একটি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলের সম্পাদক সফিকুল ইসলাম ও সাংবাদিক সুরজ আলি খানকে। দীর্ঘ দেড় মাসের আইনী লড়াইয়ের পর অবশেষে সমস্ত মামলায় জামিন পেলেন সফিকুল ইসলাম ও সুরজ আলি। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে ১০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়। একই সাথে এদিন জামিন পেয়েছেন সাংবাদিক সফিকুল ইসলামের স্ত্রী আলিমা খাতুন।

গত মাসেই আরামবাগ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের তোলাবাজির অভিযোগে সফিকুল ইসলামকে আরামবাগে তাঁর বাড়ির দরজা ভেঙে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এমনকি তাঁর স্ত্রী সহ ছোট্ট দুই শিশুকেও তুলে নিয়ে যায় পুলিশকর্মীরা। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের তোলাবাজির অভিযোগের ভিত্তিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সফিকুলকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে গিয়েছিলেন আরামবাগ থানার আইসি পার্থসারথি হালদার।

এই ঘটনার পরই শাসকদলের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিলেন বিরোধী শিবির। তাদের দাবি, লকডাউনের শুরুতে যখন মানুষে ঘরবন্দী৷ কিভাবে খাবার জোগার করবে তা ভেবে অস্থির। সেই সময় আরামবাগ থানা থেকে ক্লাবগুলিকে প্রশাসনের চেক বিলি করা হচ্ছিল৷ সেই খবরই সম্প্রচার করেছিল আরামবাগ টিভি। তার জেরেই শাসকদলের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল আরামবাগ টিভিকে। এরপরই এই ঘটনায় প্রথমে সফিকুলদের বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর সম্প্রচারের মামলা করেছিল পুলিশ। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই সেই অভিযোগ আদালতে প্রমাণ করতে পারেনি তারা। এরপর পুলিশের তরফে একের পর এক মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে সফিকুল ও সুরজ আলির বিরুদ্ধে। তবে শুধুমাত্র সফিকুল ও তার সহকর্মীর বিরুদ্ধেই নয় সফিকুলের স্ত্রী আলিমা বিবির বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়।

তবে পুলিশের ৬টি মামলার মধ্যে আগেই ৩টি মামলায় জামিন পেয়েছিলেন সফিকুল ও তার সহকর্মী। শুক্রবার বাকি তিনটি মামলাতেও জামিন পান তাঁরা। এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট গত সপ্তাহে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব করে। এরপরই শুক্রবার তাদের জামিন হয়। আশা করা যাচ্ছে শনিবারই জেল থেকে মুক্তি পাবেন তাঁরা। তাঁদের হয়ে আদালতে সওয়াল করে আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।

RELATED ARTICLES

Most Popular