Homeমহানগরআসানসোলবর্ধমানের পর এবার নব্য ও পুরাতন বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তুলকালাম আসানসোলে! দলীয়...

বর্ধমানের পর এবার নব্য ও পুরাতন বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তুলকালাম আসানসোলে! দলীয় বৈঠকেই চরম বিশৃঙ্খলা

অশ্লেষা চৌধুরী:বর্ধমানের পাশাপাশি আসানসোলেও প্রকাশ্যে বিজেপির নব্য-পুরাতন সংঘর্ষ। বাবুল সুপ্রিয় ও অরবিন্দ মেননের উপস্থিতিতেই দলীয় বৈঠকে দেখা গেল চরম বিশৃঙ্খলা। তৃণমূল থেকে আসা নিষ্ক্রিয় কর্মীদের জায়গা দেওয়া হয়েছে বলেই অভিযোগ পুরোনো সক্রিয় কর্মীদের। বিজেপির ন্যাশনাল সেক্রেটারি অরবিন্দ মেনন ও সংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র উপস্থিতিতেই মূলত আজ বিজেপি জেলা কার্যালয় বারাবনি ও কুলটি মন্ডলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক হয়। কিন্তু শীর্ষস্থানীয় দুই নেতার সামনেই বিশৃঙ্খলা ও গোষ্ঠী কোন্দলে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা কর্মীরা।

জানা গেছে এদিন বৈঠক চলাকালীন বিজেপি জেলা যুব মোর্চার সদ্য সভাপতি অরিজিৎ রায়কে কেন্দ্র করে বিরোধিতা শুরু হয়। সম্প্রতি যে বিজেপি জেলা যুব মোর্চার কমিটি ঘোষণা হয়েছে এখানে বাদ পড়েছেন অনেকে। যারা বাদ পড়েছে তাদের দাবী তারা পুরাতন বিজেপি কর্মী। কিন্তু তৃণমূল থেকে আসা নিষ্ক্রিয় কর্মীদের জায়গা দেওয়া হয়েছে। ফলে নব্য পুরাতন বিজেপি যুবমোর্চার মধ্যে মূল বিবাদ লাগে।

উল্লেখ্য নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নব্য-পুরাতন বিজেপির সংঘর্ষ বার বার প্রকাশ্যে আসছে। পদ্ম শিবিরে থাকা পুরোনো নেতা কর্মীদের অভিযোগ, যাঁদের সাথে সংঘাত করে, নিজেদের রক্ত ঝরিয়ে তারা দলের হয়ে কাজ করে করে চলেছেন ,আজ তারাই দলে ব্রাত্য। অথচ সেই দল ত্যাগ করে আসা নতুনেরাই দলে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছেন। এই অভিযোগ সামনে আসায় অবশ্য পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দিলীপ ঘোষকে ডেকে দাওয়াই দিতেই সবার জন্য দলের দরজা খোলা রাখার নিজের বার্তায় তিনি সামান্য পরিবর্তন এনেছেন, তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, যে কেউ দলে এলেই যে তাঁকে নেওয়া হবে বা কোনও পদ দেওয়া হবে এমন নয়।

তবে সেই বার্তায় যে খুব একটা কাজ হয়নি, তা বৃহস্পতিবার আবারও প্রমাণ হল। এদিন আসানসোলের পাশাপাশি বর্ধমানে বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষ ঘিরে শর কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে, গাড়ি ভাঙচুর থেকে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া সবই চলে।আর আসানসোলে তো শীর্ষ নেতাদের সামনেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে নতুন ও পুরাতনেরা। আর এই পরিস্থিতির খবর যাতে বাইরে না ছড়িয়ে পরে সেইজন্য জেলা কার্যালয়ের শাটার বন্ধ করে দেওয়া হয়। মাঝে মাঝে ভেতর থেকে গন্ডগোলের আওয়াজ আসতে থাকে বিস্তর। চিৎকার চেঁচামেচিও শোনা যায় বৈঠক থেকে।

এদিন সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে আবার বিজেপি কর্মীদের একাংশকে দেখা যায় মারতে উদ্যত হতে। তবে শেষ পর্যন্ত মাইক হাতে নিয়ে বাবুল ও অরবিন্দ মেনন পরিস্থিতি সামাল দেন এদিন । এরপর কোনও রকমে শেষ করা হয় এদিনের বৈঠক।
উল্লেখ্য এদিনই বর্ধমানে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। বর্ধমানের ঘোড়দৌড় চটির বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। মারধর করা হয় জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীকেও। দলেরই একাংশ এই কাজ করে। দু’দলের সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগানো হয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular