Homeএখন খবরআবারও খুন বিজেপি কর্মী! ২৪ ঘন্টায় দুই খুনকে ঘিরে তপ্ত হচ্ছে বাংলা

আবারও খুন বিজেপি কর্মী! ২৪ ঘন্টায় দুই খুনকে ঘিরে তপ্ত হচ্ছে বাংলা

নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের রাজনৈতিক কর্মী খুন, ফের উদ্ধার বিজেপি কর্মীর দেহ। মাত্র ২৪ঘন্টার ব্যবধানে দুই কর্মী খুনের ঘটনায় ফুঁসছে বিজেপি কর্মীরা। ঘটনায় দিন ভর উত্তাল বাংলার প্রাক নির্বাচনী রাজনীতি। এবারেও খুনের অভিযোগ উঠেছে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃনমূল কংগ্রেস। পাল্টা বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকেই কাঠ গোড়ায় তুলেছে তারা। ঘটনা যাই হোকনা কেন, রাজনৈতিক চাপান উতোরের মধ্যেই অকালে ঝরে গেল একটি তরতাজা প্রাণ। শনিবার উত্তর ২৪ পরগণার হালিশহরে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনার শোক কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রবিবার ফের রক্তাক্ত বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গন। এবার ঘটনা পূর্ব বর্ধমান জেলায়।বিজেপির অভিযোগ, ডায়মন্ড হারবারে জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার পূর্বস্থলীতে একটি মিছিল করে বিজেপি৷ সেই মিছিলে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী বিধানসভার ৩৮ নম্বর মণ্ডলের বিজেপি কর্মী সুখদেব প্রামাণিক৷
এরপরই সেদিন রাত থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। রবিবার দুপুরে স্থানীয় এক পুকুর থেকে উদ্ধার হয় এই বিজেপি কর্মীর দেহ। কাটোয়ার বিজেপি কর্মী সুকদেব প্রামানিককে তৃণমূলের গুন্ডারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে বলে দাবি বিজেপির৷

এদিকে দেহ উদ্ধারের পরই এলাকায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরী হয়। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে প্রায় ২–৩ ঘণ্টা ধরে চলে পথ অবরোধ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে অবরোধ হঠানোর চেষ্টা করে পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। তারা সেখান থেকে বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা করেন। অভিযোগ, সে সময় পুলিশকে বাধা দেয় ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। শেষে সঠিক তদন্তের আশ্বাস পেয়ে এদিন পুলিশের হাতে মৃতদেহ তুলে দিয়েছেন তারা।

অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল জানিয়েছে, বিজেপি–র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই খুনের ঘটনা। বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও সুকদেব প্রামাণিকের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত শুরু হবে।

ঘটনায় টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। বিজেপির তরফে ট্যুইট করে বলা হয়েছে, ” ২৪ ঘন্টায় ২বিজেপি কর্মী খুন। বাংলায় পিসি যখন পুনরায় ক্ষমতা দখলে বদ্ধ পরিকর কিন্তু জনতা ঠিক করে নিয়েছে বাংলায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ২০২১য়ে তৃনমুলের শেকড় উপড়েই ছাড়বে।”

RELATED ARTICLES

Most Popular