Homeএখন খবরফের হাসপাতাল এড়িয়ে ঘরেই চিকিৎসা, পিংলায় ৮দিন জ্বরে ভুগে করোনায় মৃত্যু মুদি...

ফের হাসপাতাল এড়িয়ে ঘরেই চিকিৎসা, পিংলায় ৮দিন জ্বরে ভুগে করোনায় মৃত্যু মুদি দোকানির

নিজস্ব সংবাদদাতা: ডেবরার পর সবং হয়ে এবার পিংলা, সেই অবিবেচনা প্রসূত কৃতকর্মের মাশুল দিয়ে করোনার বলি হল একটি প্রান। ৮ দিন জ্বরে ভুগে মৃত্যু হল এক মুদি দোকানদারের। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার অন্তর্গত ধনেশ্বরপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল বেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, গত ৮ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি সঙ্গে শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য উপসর্গ ছিল। স্থানীয় এক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাচ্ছিল। সোমবার রাত থেকেই অবস্থা সঙ্কট জনক হয়ে পড়েছিল বৃদ্ধ পরিবার ভেবেছিল রাত কাটিয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসবে কিন্তু সকালেই পুরোপুরি জ্বরে আছন্ন হয়ে অচতেন হয়ে পড়েন তিনি। পরিবারের লোকেরা তাড়াহুড়ো করে পিংলা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা জানান আগেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যেহেতু বাড়িতে মৃত্যু তাই তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

জ্বরের উপসর্গ থাকায় পিংলা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তাঁর করোনা পরীক্ষার জন্য সুপারিশ করেছিলেন। সেই মত খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে তাঁর আ্যন্টিজেন পরীক্ষা হলে করোনা লক্ষন নিশ্চিত হয়। এরপরই মৃতদেহ নিজের দায়িত্বে নিয়ে নেয় প্রশাসন। নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসনই তাঁর সৎকার করবে।এদিকে ওই বৃদ্ধের সরাসরি সংস্পর্ষে আসা ২০জনকে চিহ্নিত করেছে প্রশাসন তাঁদের কোয়ারেন্টাইন করার প্রক্রিয়া চালু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এঁদের সবারই করোনা পরীক্ষা করা হবে। ওই বৃদ্ধ যেহেতু মুদি দোকানের মালিক ছিলেন এবং ছেলেদের সঙ্গে তিনিও মাঝে মধ্যে দোকানে বসতেন তাই পরিস্থিতি ঘোরালো হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

পরিবারের তরফ থেকে যদিও বলা হয়েছে যে শরীর খারাপের পর থেকে বৃদ্ধ দোকানে বসেনি তবুও পুলিশ কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ কারন জ্বরের আগেও বৃদ্ধ সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন তাছাড়া তার অবর্তমানে ছেলেরা দোকান চালিয়েছে তারা বাবার থেকে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন এবার তাদের হাত ধরে খরিদ্দাররা আক্রান্ত হয়ে পড়লে সমস্যা আরও ঘোরালো হয়ে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে পুলিশের বক্তব্য, আগে পরিবারের সদস্যদের করোনা পরীক্ষার পর গ্রামের সেই সব লোকেদের পরীক্ষা করা হবে যাঁরা ওই দোকানে জিনিসপত্র আনতে যেতেন। পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের আফসোস হাসপাতালে না যাওয়ার প্রবণতা থেকে এই একের পর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে। হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা করে করোনা আক্রান্তের প্রথম মৃত্যুর ঘটনা নজরে আসে ডেবরা থানা এলাকায়। ডেবরার বাকলসা সেবকরাম গ্রামে আড়াই দিনের জ্বরে মৃত্যু হয় মাত্র ৫২ বছর বয়সী একজন পোস্ট মাস্টারের। পরের ঘটনা মাত্র কয়েকদিন আগের।

সবং থানার কুন্ডলপাল গ্রামে ১০ দিন জ্বরে থেকে মৃত্যু হয় ৬৭ বছরের এক রেশন ডিলারের। পরের মৃত্যু মঙ্গলবার সকালের। খড়গপুর মহকুমার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, “যত দ্রুত হাসপাতালে আসবেন তত দ্রুত রোগ মুক্তি ঘটবে শুধু তাই নয় বাড়ি থাকলে অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ আর বেড়ে যাবে। প্রথমে পরিবার তারপর প্রতিবেশীরা আক্রান্তের আওতায় চলে আসবেন।” আর কবে সচেতন হবেন মানুষ। সম্ভবত ওই বৃদ্ধ কোনও খরিদ্দার কিংবা দোকানের পাইকারি মালপত্র আনার সঙ্গে যুক্তদের থেকেই আক্রান্ত হয়েছিলেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular