Homeএখন খবরফের বন্ধ মেদিনীপুর ভাইরোলজি ল্যাব! SSKM নাকি MMCH কার পরীক্ষা সঠিক জানতে...

ফের বন্ধ মেদিনীপুর ভাইরোলজি ল্যাব! SSKM নাকি MMCH কার পরীক্ষা সঠিক জানতে এবার নমুনা গেল ICMR-NICED ল্যাবে

নিজস্ব সংবাদদাতা: সংক্রমনের কারনে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ (MMCH) ২ বার বন্ধ করতে হয়েছে। ২ বারই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা থেকে সংগৃহীত করোনা পরীক্ষার নমুনা পাঠানো হয়েছে কলকাতার SSKM মেডিক্যাল কলেজের ভাইরোলজি ল্যাবে আর ২ বারই চক্ষু চড়ক গাছ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের। যে রিপোর্ট এসেছে তাতে পজিটিভ কেসের সংখ্যা অত্যন্ত কম, অধিকাংশই নেগেটিভ। অথচ হিসাব বলছে এই পরিমান নমুনা থেকে MMCH বা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি ল্যাব থেকে পজিটিভ আসছে অনেক বেশি।

এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠে গেছে কোন ল্যাবের করোনা নির্নায়ক যন্ত্রটি সঠিক। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের সংগৃহীত এবার পাঠানো হল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ বা ICMR য়ের পূর্বাঞ্চলীয় কেন্দ্র বেলেঘাটাতে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা এন্ড এন্ট্রিক ডিজিজ বা NICED ভাইরোলজি ল্যাবে। জানা গেছে ৫ আগষ্টের কিছু নমুনা নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতাস্থ ICMR য়ের নিজস্ব ল্যাবে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের হিসাব অনুযায়ী ৩০শে জুলাই থেকে ২০শে আগষ্ট অবধি মেদিনীপুর মেডিক্যাল ল্যাবে আ্যন্টিজেন ও আরটি/পিসিআর মিলিয়ে সংগৃহিত নমুনার প্রায় ৭ শতাংশ পজিটিভ হচ্ছে। কিন্তু তারপরই ল্যাবের কয়েক কর্মী আক্রান্ত হওয়ায় প্রথমবার নমুনা যায় SSKM। সেখান থেকে যে রিপোর্ট আসে তাতে দেখা যায় ১% বা তার আরও কম পজিটিভ। কয়েকদিনের মাথায় ফের দ্বিতীয় দফায় কর্মী সংক্রমন ঘটায় আবারও ল্যাব বন্ধ রাখায় নমুনা পাঠানো হয় SSKM য়ে। এবার দেখা যায় SSKM য়ের পাঠানো ফলাফল অনুযায়ী পজিটিভের হার ৬ থেকে ৭% কিন্তু মধ্যবর্তী কালীন যে পরীক্ষা মেদিনীপুর মেডিক্যালে হয়েছিল তার পজিটিভ হার ২৫% ছাড়িয়ে যায়। শুক্রবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে পরীক্ষা থেকে পজিটিভের হার নাকি আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এরপরই স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা। রাজ্যের নির্দেশ আসে তৃতীয় কোনও ল্যাবে পাঠানো হবে নমুনা। সেই মত ফের শনিবার থেকে জেলার নমুনা পাঠানো শুরু হয়েছে NICED কেন্দ্রে।

শনিবারই একটি বড়সড় পর্যালোচনা বৈঠকে বসে জেলার কোভিড টাস্ক ফোর্স। ভিডিও কনফারেন্সে কথাবার্তা হয় রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তাদের সাথে। জানা গেছে অতি সম্প্রতিকালে শালবনী করোনা হাসপাতালে পরপর কয়েকটি মৃত্যুর কারন খতিয়ে দেখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জেলাকে। পরিকাঠামোগত ত্রুটি রয়েছে কী না নজর দিতে বলা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

RELATED ARTICLES

Most Popular