Homeএখন খবরপ্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ, রেগে গিয়ে দল ছাড়লেন পূর্ব বর্ধমানের অমর রাম

প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ, রেগে গিয়ে দল ছাড়লেন পূর্ব বর্ধমানের অমর রাম

নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিয়েছেন। আর এর মধ্যেঅ ঘাসফুল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন অনেকেই। এবার কাটোয়া পুরসভার কাউন্সিলার তথা পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক অমর রাম তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন। কাটোয়ায় রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাতেই ক্ষোভে দল ছাড়া তাঁর। বুধবার তিনি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দেবনাথের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, কলকাতায় গিয়ে বুধবারেই তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গেই দল ছাড়েন কাটোয়া পুরসভার দুই কাউন্সিলর শ্যামল ঠাকুর ও ভাস্কর মণ্ডল। আর এই ঘটনায় দলীয় প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের জেরে তৃণমূল ছাড়ার তালিকা দীর্ঘ হতে শুরু করল।

এ ব্যাপারে লিখিত পত্র মঙ্গলবারই জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের এক প্রবীণ কার্য্যকরী সভাপতি তৃণমূল ভবনে পাঠিয়েছিলেন। তৈরী হয়ে রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন নেতা। আর তারই মাঝে এদিন কাটোয়ার হেভিওয়েট নেতা অমর রাম তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুধু তিনিই নয়, সূত্রের খবর কাটোয়া পুরসভার আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলার অমর রামের পথেই তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেক্ষেত্রে আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগেই কাটোয়া পুরসভায় তৃণমূল সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে কিনা তা নিয়েই এবার ঘোরতর দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে জোড়াফুল শিবিরে। তৃণমূল নেতা নুরুল হাসান জানিয়েছেন,” দলের প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই অমর রাম দল ছাড়ার কথা বলছিলেন। তাঁকে বোঝানো হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্তই নিলেন।” এদিকে যার কারণে অমর রাম তৃণমূল ছাড়লেন সেই রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপিতে যাওয়ার কথা এখন হয়তো ও প্রকাশ্যে বলছে, অনেক দিন থেকেই ও বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। আমি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বার বার বলেছিলাম ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। অমর রাম যাওয়ায় দলের খুব একটা ক্ষতি হবে না।“

এদিকে বর্ধমান দক্ষিণ কেন্দ্রের একদিকে যেমন বেশ কয়েকজন নেতা দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, সেই সময় চুটিয়ে এদিনও সকাল থেকে প্রচার করে গেলেন বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার প্রার্থী খোকন দাস। প্রতিটি পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে প্রতিটি বাড়ীর ভেতরে ঢুকে ভোট ভিক্ষা করছেন। তুলে ধরছেন তাঁর স্বভাবসিদ্ধ বক্তব্যও। তিনি বর্ধমানের ছেলে, পাড়ার ছেলে, এলাকার ছেলে – তাঁকে জয়ী করুন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কাউন্সিলার হিসাবে খোকন দাস রথতলা কাঞ্চননগরকে রীতিমত সাজিয়ে তুলেছেন। যদিও তাঁকে সর্বতোভাবে সাহায্য করেছেন বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান রবিরঞ্জন চট্টোপাধ‌্যায়। ভোটের প্রচারে বেড়িয়ে সেই প্রসঙ্গও উঠে আসছে তাঁর কর্মীদের কথায়। যেভাবে খোকন দাস রথতলা কাঞ্চননগরকে সাজিয়ে তুলেছেন, তাঁকে জয়ী করলে তিনি যে গোটা বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভাকেকেই এভাবে সাজিয়ে তুলবেন তারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া চলছে। দলের গোষ্ঠীকোঁদল যতই চাগাড় দিচ্ছে – ততই খোকন দাস জেতার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠছেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular