Homeএখন খবর"মতুয়া-আদিবাসীদের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করে অমিত শাহ আসলে লোকদেখানো 'নাটক' করছেন", বিস্ফোরক মন্তব্য...

“মতুয়া-আদিবাসীদের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করে অমিত শাহ আসলে লোকদেখানো ‘নাটক’ করছেন”, বিস্ফোরক মন্তব্য ফিরহাদ হাকিমের

ওয়েব ডেস্ক : কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বাংলা সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার অমিত শাহের এ রাজ্যে আসা নিয়ে মন্তব্য করে বসলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি বলেন অমিত শাহের বাংলা সফর নির্বাচনের গিমিক ছাড়া আর কিছুই নয়। এদিকে বাঁকুড়ায় একাধিক বৈঠকের মাঝেই এদিন চতুরডিহি গ্রামের বাসিন্দা আদিবাসী বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারার কথা অমিত শাহয়ের। এদিন এবিষয়ে মন্তব্য করে ফিরাদ হাকিম বলেন, অমিত শাহয়ের আদিবাসী ও মতুয়াদের বাড়িতে খাওয়া–দাওয়ার বিষয়টি পুরোটাই ‘নাটক’। তাঁর মতে, “উত্তরপ্রদেশে রোজ বহু দলিত ধর্ষিত হচ্ছে, বিজেপি শাসিত অন্য রাজ্যগুলিতে অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন আদিবাসীরা। অমিত শাহ সে সব ঘটনা ঢাকা দেওয়ার জন্য এখানে এসে নাটক করছেন।”

তবে শুধুমাত্র ফিরাদ হাকিম নয়, এদিন একই মন্তব্য করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। সাংসদ বলেন, “আজ মতুয়া, আদিবাসীদের বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করে অমিত শাহ আসলে লোকদেখানো নাটক করছেন। আমাদের দলিত, আদিবাসীরা বোঝেন যে বিজেপি উচ্চবর্ণের পার্টি, বড়লোকদের পার্টি। ওরা গরিবদের নিয়ে মাথা ঘামায় না। ওরা আমবানি–আদানিদের নিয়ে মাথা ঘামায়। ওরা যদি সোনার বাংলাই করবে তবে সোনার উত্তরপ্রদেশ, সোনার গুজরাট করতে পারছেন না কেন?”

পাশাপাশি এদিন ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট জানান, “মতুয়া হোক বা আদিবাসী— কারও সঙ্গে বিজেপি নেই। আসলে ভোটের সময় তাঁদের কথা মনে পড়ে বিজেপি–র। বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করে। আর আমরা ঐক্যের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। বাংলা অমিত শাহর কাছে, গুজরাটের কাছে মাথা নীচু করবে না।” এদিন তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের উন্নয়নের প্রসঙ্গেও বেশ কিছু মন্তব্য করেন। ফিরাদ হাকিম বলেন, “মতুয়ায় বড়মার বাড়ির সংস্কার থেকে শুরু করে সব কিছু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ, বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর অমিত শাহ এসে শুধু গিমিক দেখিয়ে আর তোয়াজ করলে মানুষ অতীতের সব ভুলে যাবে তা হতে পারে না।”

প্রসঙ্গত, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের এক অনুষ্ঠানে
বলেন, “বড়মা থাকাকালীন নিজের হাতে মতুয়াদের উন্নয়নের ব্যাপার আমি দেখেছি। বড়মা যতদিন বেঁচে ছিলেন, প্রায় ২০–২৫ বছর ধরে বড়মার দেখাশোনা, চিকিৎসা— সবটাই আমি করতাম। ‌আমি আসার পর মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির ওখানে রেলস্টেশনের উন্নয়ন, এলাকার উন্নয়ন হয়েছে। কলেজ তৈরি করে দিয়েছি।এখন যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছে তারা এ সব কিছুই জানে না।” পাশাপাশি বুধবার নবান্নের অনুষ্ঠান থেকেই তিনি মতুয়া উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করে তার জন্য ১০ কোটি টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular