Homeএখন খবর'আমফান' কোন্দল বাড়ছে তৃনমূলে, সাধনের পর এবার দলীয় মন্ত্রীর সমালোচনায় সুব্রত

‘আমফান’ কোন্দল বাড়ছে তৃনমূলে, সাধনের পর এবার দলীয় মন্ত্রীর সমালোচনায় সুব্রত

ওয়েব ডেস্ক : আমফানে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলা, সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিন ২৪পরগনা। তারমধ্যে আরও ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবন এলাকা। ২৫ হাজারেরও বেশি বাড়ি ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গেছে, বিপর্যের ধকলে এখনও ধুঁকছে গ্রামের পর গ্রাম। বহু জায়গাতেই এখনও প্রশাসনের দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ। আর গত ১৫দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও দেখা মেলেনি সুন্দরবন মন্ত্রীর। এলাকায় এলাকায় তৈরি হচ্ছে ব্যাপক ক্ষোভ।২০২১ বিধানসভায় এই ক্ষোভ কতটা আছড়ে পড়বে তা সময়ই বলবে কিন্তু সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী যে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে কাজটা ঠিক করেননি তা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জী।
আমফানে বিদ্ধস্ত কলকাতার দুরাবস্থার জন্য মন্ত্রী ফিরাদ হাকিমকে কাঠ গোড়ায় তুলেছিলেন আরেক মন্ত্রী সাধন পান্ডে। কার্যত কাছা খোলা আক্রমন করেছিলেন সাধন। এরপর আমফান বিধ্বস্ত সাগরদ্বীপ নিয়ে নাম না করে দলেরই এক মন্ত্রীকে বিঁধলেন শাসকদলের বর্ষীয়ান নেতা তথা পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জী। আমফান এর পর ১৫ দিন পার এখনও পর্যন্ত সাগরদ্বীপ পরিদর্শনে না যাওয়া নিয়ে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরার বিরুদ্ধে শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এবিষয়ে সুর ছড়ালেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।

সম্প্রতি শাসকদলের তরফে জনসংযোগ বাড়াতে সাংবাদিক বৈঠকের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “সাগরে কোনও মন্ত্রী যাননি। পাশেই একজন মন্ত্রী থাকেন। তাঁর যাওয়া উচিত ছিল। এগুলো আমাদের সংশোধন করে নিতে হবে। যারা মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি, ঠিক করেনি। তবে এলাকার বিধায়কেরা ভালো কাজ করেছে।” যদিও এই বিষয়ে মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরার সাথে যোগাযোগ করা হলে তাঁর তরফে কোনো প্রকার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বেশ কিছুদিন আগেই আমফান বিধ্বস্ত কলকাতার পরিকাঠামো নিয়ে মেয়র ফিরাদ হাকিমের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ছিলেন শাসক দলেরই আর এক প্রবীণ নেতা সাধন পান্ডে। এরপর তাকে নিয়ে দলের অন্দরে বেশ খানিকটা অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়। এমনকি সাধন বাবুকে ‘অসুস্থ’ বলেন মেয়র ফিরাদ হাকিম। এই ঘটনার কয়েকদিনের মধ্যেই শাসক দলের আরও এক প্রবীণ নেতা তথা তৃণমূলের এককালীন পথপ্রদর্শক সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মুখে দলেরই আর এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এহেন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের অন্দরে যে একপ্রকার চাপানোতর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা অনুমান করা যাচ্ছে।
যেখানে পরিস্থিতিতে ঘটনার ২ দিনের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী ‘আমফান’ বিধ্বস্ত দক্ষিন ২৪ পরগনা পরিদর্শন করে গিয়েছেন সেখানে ১৫ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এখনও পর্যন্ত দেখা মেলেনি সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরার।
শুক্রবার তৃণমূলের এই প্রবীণ নেতা সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “সাগরে কোন মন্ত্রী যায়নি। পাশেই একজন মন্ত্রী থাকেন। তাঁর যাওয়া উচিত ছিল। এগুলো আমাদের সংশোধন করে নিতে হবে। যাঁরা মানুষের কাজে মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি তারা ঠিক করেনি।” এদিন তিনি রাজধর্মের কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন। সুব্রতবাবু বলেন, “করোনা নিয়ে ভয় থাকতে পারে। আমারও আছে। অনেক সময় আমরা পরিবারের সঙ্গে ঝগড়া করেও বাইরে কাজ করতে বের হই। এটা রাজধর্মের শর্ত।”
একটি সংবাদমাধ্যমকে পঞ্চায়েত মন্ত্রী বলেন, “সমুদ্র দিয়ে ঘেরা একটা জায়গা। আমফানে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাগরের পাশেই থাকেন মন্ত্রী। ভাড়াও দিতে হত না। সরকারি লঞ্চেই ঘুরতে পারতেন। একবার পরিদর্শন করলে ভাল হত।” সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরাকে অবশ্য ত্রানের কাজে ব্যস্ত আছেন বলে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

RELATED ARTICLES

Most Popular