Homeএখন খবরফের রাজ্যে অমানবিকতার নজির! ভিনরাজ্য থেকে আসায় ঠাঁই নেই গ্রামে, অবশেষে সন্তান...

ফের রাজ্যে অমানবিকতার নজির! ভিনরাজ্য থেকে আসায় ঠাঁই নেই গ্রামে, অবশেষে সন্তান নিয়ে শ্মশানেই বাস দম্পতির

ওয়েব ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে ভিনরাজ্য থেকে মানুষজনকে ফিরতে দেখলেই তাদের মাধ্যমে করোনায় সংক্রমিত হতে পারে, এই আশঙ্কায় ইদানীং নানা অমানবিক ঘটনার কথা শোনা যাচ্ছে। করোনা আবহে এমনই এক অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাখরাবাদের খালিনা গ্রাম। ভিন রাজ্য থেকে আসায় করোনা সংক্রমণ ছড়াতে পারে, এই ভয়ে রাজস্থান ফেরত এক দম্পতিকে গ্রামেই ঢুকতে দিলেন না গ্রামের বাসিন্দারা৷ এর জেরে বাধ্য হয়ে ২ বছরের ছোট্ট শিশুকে নিয়ে শ্মশানের ধারে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের।

জানা গিয়েছে, বেলদার বাখরাবাদের খালিনা গ্রামের বাসিন্দা অলকা সিং। বছর চারেক আগে তাঁর বিয়ে হয়েছে রাজস্থানে। লকডাউনের সময় থেকেই বিশেষ প্রয়োজনে তাকে বেলদা আসতে হতো। কিন্তু যেহেতু লকডাউনের কারণে ট্রেন বন্ধ সেকারণে সেসময় আসতে পারেনি। ফলে লকডাউন শিথিল হতেই অনেক কষ্ট করে স্বামী-সন্তান নিয়ে বাপেরবাড়ির গ্রামে ফেরেন অলকা। অভিযোগ, যেহেতু তারা রাজস্থান থেকে এসেছেন সেকারণে তাদের করোনা থাকতে পারে এই সন্দেহে তাদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। তাদের অভিযোগ, এই ঘটনায় বিজেপির স্থানীয় নেতাকর্মীরাই গ্রামের লোকজনকে এইসব বুঝিয়ে তাদের উত্তেজিত করে তুলছে। ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই শ্মশানের পাশেই ত্রিপল খাটিয়ে স্বামী এবং সন্তানকে নিয়ে থাকতে হচ্ছে। এদিকে শ্মশানের পাশেই রয়েছে বিষধর সাপের গর্ত। ফলে প্রতি মূহুর্তে রয়েছে সাপের ভয়। তার উপর আবার মশার উপদ্রবও রয়েছে। এর জেরে তাদের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ তারওপর যেহেতু ছোট্ট শিশুকে নিয়ে শ্মশানের পাশে রয়েছেন সেহেতু তাদের মনে নানা আতঙ্ক বাসা বাঁধছে৷ তবে গ্রামের বাসিন্দাদের বারংবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা ওই দম্পতির কোনো কথাই শোনেনি বলে অভিযোগ।

যদিও এই বিষয়ে বিজেপি নেতৃত্বের ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করলেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের পালটা দাবি, যেহেতু সাধারণ মানুষ করোনা নিয়ে অত্যন্ত আতঙ্কিত, সেকারণে নিজে থেকেই তাঁরা ওই দম্পতিকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দিচ্ছেন। বিজেপির আরও দাবি, “ওই দম্পতির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। গ্রামের মানুষকে বোঝানোরও চেষ্টা করা হবে।” যদিও এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ওই দম্পতি।

RELATED ARTICLES

Most Popular