Homeএখন খবররাজ্য সরকারের অভিনব সিদ্ধান্ত, এবার নিজের এলাকার পরিক্ষাকেন্দ্রেই উচ্চমাধ্যমিক দিতে পারবে পরিক্ষার্থীরা

রাজ্য সরকারের অভিনব সিদ্ধান্ত, এবার নিজের এলাকার পরিক্ষাকেন্দ্রেই উচ্চমাধ্যমিক দিতে পারবে পরিক্ষার্থীরা

ওয়েব ডেস্ক: করনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতেই এক অভিনব সিদ্ধান্তের কথা জানালেন রাজ্য শিক্ষা দফতর। এবার উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষাকেন্দ্রগুলি যাতে বাড়ির কাছেই হয় সেদিকেই নজর দিচ্ছেন শিক্ষা দফতর।

ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় বারের জন্য পরিবর্তীত হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক সূচী। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিশেষত কলকাতায় দিন দিন বেড়েই চলেছে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে অন্য এলাকায় গিয়ে পরিক্ষা দেওয়া নিরাপদ নয়। এই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই শিক্ষা দফতরের তরফে নিজের এলাকার পরিক্ষাকেন্দ্র গুলিতেই উচ্চমাধ্যমিকের বকেয়া পরিক্ষাগুলি সম্পন্ন করার কথা ভাবছেন রাজ্য শিক্ষা দফতর।

তবে পরিক্ষার জন্য শুধু যে স্কুল গুলিকেই ব্যবহার করা হবে তা নয়। প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীদের সুবিধার্থে এলাকার বিভিন্ন কলেজগুলিকেও ব্যবহার করা হতে পারে বলেই জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী।

সাংবাদিক বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পরীক্ষার কাজে প্রয়োজনে কলেজগুলিকেও ব্যবহার করা হবে। সেকারণে স্কুলের পাশাপাশি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ও ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা কেন্দ্র যাতে পরীক্ষার্থীদের বাড়ির কাছে হয়, তার উপর বাড়তি জোর দিচ্ছে সরকার।

এদিকে, ভীনরাজ্য থেকে বহু পরিযায়ী শ্রমিকরা এরাজ্যে এসে আপাতত জেলার বিভিন্ন স্কুলগুলিতে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাদের অন্তত ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রেখে পরিক্ষার পর স্কুল গুলিকে দ্রুত জীবানুমুক্ত করে ১লা জুলাই থেকেই স্কুল গুলো চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ‘আমফান’ এ বিধ্বস্ত হয়ে রাজ্যের ৮টি জেলার মোট ৪৬২টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তার মধ্যে বর্তমানে ১১৭টি কেন্দ্রে পরিক্ষা নেওয়া যেতে পারে বলে শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, তবে শুধু যে রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা নয়। প্রায় মাসখানেক আগেই কেন্দ্রের অধিনস্ত সিবিএসসি বোর্ডের তরফে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিবিএসসি বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছিল, পরিক্ষার্থীরা নিজের নিজের স্কুলেই তাদের বকেয়া উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষা দিয়ে পারবে।

ফলে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের মাস খানেক পরেই রাজ্য শিক্ষা দফতরের এইরূপ সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছে যে কেন্দ্রের পথেই চলছে রাজ্য।

RELATED ARTICLES

Most Popular