Homeএখন খবরতৃনমূল যুব নেতা খুনে গ্রেপ্তার বিজেপি সেনাপতি আনিসুর , মুখ ঢেকে পেশ...

তৃনমূল যুব নেতা খুনে গ্রেপ্তার বিজেপি সেনাপতি আনিসুর , মুখ ঢেকে পেশ আদালতে

তমলুক আদালতে 

নিজস্ব সংবাদদাতা:শেষ অবধি ২৫দিনের মাথায় গ্রেপ্তার হলেন পুর্ব মেদিনীপুর জেলার বিজেপি নেতা তথা পাঁশকুড়ার দলীয় সেনাপতি আনিসুর রহমান। নবমীর রাতে নিজের দলীয় অফিসে খুন হয়েছিলেন পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বছর বত্রিশের কুরবান শা। সেই খুনের মামলায় প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন আনিসুর। রবিবার রাতে মেচেদা স্টেশন এলাকা থেকে আনিসুর ও তার ছায়াসঙ্গী অপর বিজেপি নেতা শেখ মোবারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
পুলিশের এই দাবি কতটা সত্যি জানা নেই কারন অন্য একটি সূত্রে জানা গেছে আনিসুর ও তার সঙ্গিকে কয়েকদিন আগেই ধরেছিল পুলিশ রবিবার তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আর পুলিশ তাকে ধরবে জেনেও আনিসুর কেন পুর্ব মেদিনীপুর জেলার মেচেদাতে এল সেটাও রহস্যের।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এই খুনের ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের আগেই আনিসুরকে কুরবান খুনের প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে ঘোষনা করেছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। একদা মন্ত্রীরই ডান হাত এই আনিসুরের হাত ধরেই পাঁশকুড়া দখল নিয়েছিল তৃনমূল। এরপর আনিসুরের সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে এবং তারপর থেকে  অনেকবারই আনিসুর বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন এবং একাধিকবার জেলে গেছেন।

আনিসুর রহমান 

যদিও কুরবান শা র পরিবার যে এফআইআরে আনিসুরের নাম প্রথমেই রেখেছে তবুও প্রথম থেকেই পুলিশের পরিবর্তে সিআইডি তদন্ত দাবি করেছে। অভিযোগ দায়েরের আগে ও পরে বারবার পুলিশি তদন্তে অনাস্থা পোষণ করেছেন কুরবানের  দাদা। আরও এক কদম এগিয়ে কুরবানের স্ত্রী তথা মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তথা তৃনমূল নেত্রীর দাবি তাঁর স্বামীর খুবই কাছের লোকেরা এই খুনের সঙ্গে জড়িত।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
বিজেপির তরফেও দাবি করা হয়েছে দলীয় অন্তর্দ্বন্দ্বে খুন হয়েছেন তৃনমূল নেতা। যদিও মন্ত্রী প্রথম থেকেই বলে এসেছেন আনিসুরই এই হত্যাকণ্ডে যুক্ত। যদিও  কুরবানের পরিবারের দাবি ছিল, আনিসুরের সঙ্গে রাজনৈতিক আক্রোশ ছিল কুরবানের।তাকে একাধিকবার মারধর করা ছাড়াও তিনবার খুনের হুমকি দিয়েছিলেন আনিসুর।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শেষ অবধি বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানকে প্রধান অভিযুক্ত করে দায়ের হয়েছিল খুনের নালিশ।বিশেষ তদন্তকারী দল(সিট) গঠন করে তদন্তে নেমেছিল পুলিশ।শুরুতে বাগে এসেছিল মহম্মদ খালেক নামের পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূলের এক নেতা।কয়েকদিন আগে গ্রেপ্তার হয় আরও ৫ জন। এরা সরাসরি খুনের সঙ্গে জড়িত বলেই পুলিশের দাবি।  ধরে ছিল পুলিশ।অবশেষে রবিবার রাতে ধরা পড়লেন আনিসুর ও মোবারক।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সোমবার আনিসুর আর মোবারককে মুখ ঢেকে হাজির করা হয় তমলুক আদালত চত্বরে।  নিয়ে যাওয়া হয় বিচারকের এজলাসে। দুজনকেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। সাধারন ভাবে দাগি  আসামীদের এভাবেই পেশ করা হয়ে থাকে কারন পুলিশের বক্তব্য অনেক সময় দাগি আসামীর চোখ মুখই গোপন বার্তা পাঠিয়ে দেয় আদালতে ভিড়ের মধ্যে মিশে থাকা অন্য সঙ্গিদের। এ ক্ষেত্রে আনিসুর কি বার্তা পাঠাতে পারত কে জানে?

RELATED ARTICLES

Most Popular