Homeএখন খবরCorona Death: ফের করোনায় মর্মান্তিক মৃত্যু ডেবরায়! ৩৬দিনের লড়াই শেষে চলে গেলেন...

Corona Death: ফের করোনায় মর্মান্তিক মৃত্যু ডেবরায়! ৩৬দিনের লড়াই শেষে চলে গেলেন ব্যবসায়ী বাবলু খাঁড়া

শশাঙ্ক প্রধান : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ফের পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরাতে মর্মান্তিক আঘাত হানল। টানা ৩৬দিন লড়াই করেও করোনাজয়ী হতে পারলেননা ডেবরা বাজারের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বাবলু খাঁড়া। বুধবার রাত ৮টা নাগাদ কলকাতার অভিজাত বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান আ্যপোলো হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ৫৪বছর। ঘটনার খবর আসার পরই শোক আছড়ে পড়েছে ডেবরার ব্যবসায়ী মহলে।
একের পর এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ডেবরাবাসীদের মধ্যেও। উল্লেখ্য মাত্র কয়েকদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫০দিনের লড়াই শেষে মৃত্যু হয়েছে বালিচক এলাকার বাসিন্দা ৪৬বছরের সুদীপ পালের। সেই ঘটনার বেশ কাটতে না কাটতেই বাবলু খাঁড়ার মৃত্যুর ঘটনা ডেবরা এলাকায় আলোড়ন তৈরি করেছে।

ডেবরার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তথা সাংসদ দীপক অধিকারী বা অভিনেতা দেবের প্রতিনিধি সীতেশ ধাড়া বলেন, “বাবলু খাঁড়াকে বাঁচানোর জন্য শেষ মুহূর্ত অবধি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে গেছি আমরা। আমাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমাদের সাংসদ দেব এবং বিধায়ক তথা মন্ত্রী হুমায়ুন কবির মহাশয় যোগাযোগ করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষর সঙ্গে। ওনার যখন রক্তে অক্সিজেন মাত্রা ৭৫শতাংশে নেমে গেছে তখনই আমরা খবরটা পাই। তখন থেকেই নিরন্তর হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলাম। কিন্তু শেষ অবধি সব চেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে গেল। ডেবরা একজন সৎ ব্যবসায়ীকে হারাল।”

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত মাসের ২০ তারিখ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বাবলু খাঁড়াকে। তখনই তাঁর করোনা চিহ্নিত হয়। ওখানে ৫ দিন থাকার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় কলকাতার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আমৃত্যু সেখানেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। ডেবরা মোড় থেকে মাড়োতলা মুখী রাস্তায় সীমা নার্সিং হোম ও পপুলার ক্লাবের ঠিক উল্টো দিকেই বাড়ি কাম দোকান তাঁর। গত প্রায় ৩৫ বছর ধরে ওখানেই ভূসিমালের দোকানটি চালিয়ে আসছিলেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গেছে শেষের কয়েকদিন কোমায় চলে গিয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসকরা শত চেষ্টা করেও সেখান থেকে জ্ঞান ফিরিয়ে আনতে পারেননি। ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

ডেবরার আরও এক ব্যবসায়ী শান্তনু পন্ডিত জানান ওনাকে আমরা ছোট থেকে দেখছি খুব সহজ সরল মনের মানুষ ছিলেন,সবার সাথে মিশতেন কথা বলতেন,ভূল করলে আমাদের বকবকিও করতেন, সবার প্রিয় ছিলেন বাবলু কাকু।আর আমাদের মত তরুণ ব্যবসায়ীদের পরামর্শ দিতেন ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য। হাসপাতালে যাওয়ার কয়েকদিন আগে দেখা হয়েছিল। তখনও আমাকে বলেছিলেন, ‘ভাইপো, যা দিনক্ষন আসছে তাতে চাকরি বাকরির বাজার আরও খারাপ হচ্ছে। ব্যবসা ছাড়া আয়ের দ্বিতীয় বিকল্প নেই। আর সেই কারণে ব্যবসাতে প্রতিযোগিতাও বাড়ছে। মন দিয়ে ব্যবসা না করলে এখানে টিকে থাকতে পারবিনা। আর উনিই বলেছিলেন, সাবধানে থাকতে হবে এখন, শরীর ভালো রাখতে হবে। করবি। সেই মানুষই এইভাবে আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ভাবতে পারছিনা।” স্ত্রী ছাড়া ১মেয়ে ও ছেলেকে রেখে গেছেন বাবলু খাঁড়া। এদিন ডেবরার হরিমতি রাইস মিল সংলগ্ন নিজ জমিতে শেষ কার্য সম্পন্ন হয় তাঁর।

RELATED ARTICLES

Most Popular