Homeএখন খবরখড়গপুরে ফের আক্রান্ত চিকিৎসক, সঙ্কটে রেল! আক্রান্ত চক্ষু চিকিৎসককে দেখিয়ে আতঙ্কে রোগিরা

খড়গপুরে ফের আক্রান্ত চিকিৎসক, সঙ্কটে রেল! আক্রান্ত চক্ষু চিকিৎসককে দেখিয়ে আতঙ্কে রোগিরা

নিজস্ব সংবাদদাতা: ২৪ ঘন্টা কাটলনা ফের আরেক চিকিৎসকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেল খড়গপুর শহরে। এবার আক্রান্ত হলেন দক্ষিনপূর্ব রেলের খড়গপুর জোনাল হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর শুভেন্দু পাল চৌধুরী। জানা গেছে গত ১৯ আগষ্ট ৫৪ বছর বয়সী এই চিকিৎসক নিজের নমুনা দিয়েছিলেন করোনা পরীক্ষার জন্য শুক্রবার পজিটিভ ফল পাওয়া গেছে তাঁর।

বৃহস্পতিবারই খড়গপুরের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গৌতম সাহার পজিটিভ ফল এসেছিল তার রেশ কাটতে না কাটতে ফের আক্রান্ত হলেন এই চিকিৎসক। রেল সূত্রে জানা গেছে আক্রান্ত চিকিৎসক শুভেন্দু পাল চৌধুরী যথেষ্ট জনপ্রিয় চিকিৎসক। তাঁর অভিজ্ঞতা ও হাত যশের ওপর যথেষ্ট ভরসা করেন রোগিনীরা। আউটডোর ও ইনডোর দুটোই দক্ষ হাতে সামলে থাকেন তিনি ফলে তাঁর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বেশকিছু দিনের জন্য ধকল সামলাতে হবে হাসপাতালকে।

অন্যদিকে একের পর এক চিকিৎসকের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় যথেষ্ট চিন্তায় পড়েছেন রেলের শীর্ষ আধিকারিকরা। এর আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন রেলের প্রোথিতযশা চিকিৎসক অরবিন্দ কুমার জয়সওয়াল। আক্রান্ত হন জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা এক মহিলা চিকিৎসক এবং একজন শিক্ষার্থী চিকিৎসকও। সেই ঘাটতি পূরণ করে উঠতে না উঠতেই ফের এই চিকিৎসকের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে রেলের চিকিৎসা পরিষেবা। যদিও রেলের তরফে এটা জানা গেছে ওই চিকিৎসকের তেমন কোনোও উপসর্গ নেই। আপাতত নিজেকে আইসলেশোনে চলে গেছেন তিনি।

অন্যদিকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ গৌতম সাহা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা যথেষ্ট আতঙ্ক তৈরি করেছে সেই সব ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁরা তাঁর কাছে কয়েকদিনের মধ্যে চোখ দেখাতে গিয়েছিলেন। সব চেয়ে বড় কথা নিজেকে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করে ১৮ই আগস্ট নমুনা দেওয়ার পর তাঁর নিজে থেকেই আইসলেশনে চলে যাওয়া উচিৎ ছিল কিন্তু তিনি তা না করে ২০ তারিখ তার ফল আসার আগে অবধি শহরের দুটি চেম্বারে প্রায় আশি জনের চোখ পরীক্ষা করেছেন। এই রোগিদের মধ্যে অনেকেই বয়স্ক ও অন্যান্য রোগে কাবু রোগিরা থাকতে পারেন যাঁদের ক্ষেত্রে এই করোনা সংক্রমন মারাত্মক হতে পারে।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, “এমন যদি কেউ আশঙ্কা প্রকাশ করে থাকেন তবে তিনি অবিলম্বে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে এসে আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করিয়ে নিয়ে জেনে নিতে পারেন তিনি পজিটিভ বা নেগেটিভ।” চিকিৎসক পাল চৌধুরী ছাড়াও এদিন রেলে তালিকায় আরও ৬ জন আক্রান্তের নাম পাওয়া গেছে। এঁদের মধ্যে একজন ভবানীপুর ও আরেকজন বড় আয়মার বাসিন্দা বাকিরা রেলের আবাসনে থাকেন।

অন্যদিকে খড়গপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত নমুনার ভিত্তিতে জেলার স্বাস্থ্যদপ্তরের রিপোর্টে শুক্রবার মোট ২৫জনের পজিটিভ এলেও এরমধ্যে ১১জন শহরের বাসিন্দা। পজিটিভ এই নতুন আক্রান্তরা শহরের খরিদা কুমারপাড়া, দেবলপুর, সুভাসপল্লী, ভবানীপুর, আরামবাটি, দক্ষিণ ইন্দার নতুনপল্লী, সাঁজোয়াল, সোনামূখী, রবীন্দ্রপল্লী ইত্যাদি এলাকার বাসিন্দারা রয়েছেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular