Homeএখন খবররাজ্যে এল ১লক্ষ কো ভ্যাকসিন! আরও যাচ্ছে শীঘ্রই, জানালো কেন্দ্র

রাজ্যে এল ১লক্ষ কো ভ্যাকসিন! আরও যাচ্ছে শীঘ্রই, জানালো কেন্দ্র

নিজস্ব সংবাদদাতা: রবিবারের সকালে আরও ১লক্ষ কো ভ্যাকসিনের ডোজ এসে পৌঁছেছে রাজ্যে। এদিন সাত সকালেই কলকাতা বিমানবন্দরে ওই প্রতিষেধক এসে পৌঁছায় বিশেষ বিমানে। গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে প্রথম দফার ভ্যাকসিনে যে আকাল তৈরি হয়েছিল তার থেকে কিছুটা হলেও সুরাহা মিলবে বলে আশানিত্ব রাজ্যবাসী। উল্লেখ্য নতুন সরকার গঠনের পরেই ভারত বায়োটেকের কাছে ৩ লক্ষ কোভ্যাকসিনের বরাত দিয়েছিল রাজ্য।

রবিবাসরীয় সকালে তারই ১ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন শহরে পৌঁছল। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সরাসরি বাগবাজার সেন্ট্রাল স্টোরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ভ্যাকসিনগুলি। ওখান থেকেই তা বিভিন্ন জেলায় চাহিদা ও যোগানের অনুপাতে ভাগ করে পাঠানো হবে। উল্লেখ্য এ অবধি ১কোটি ১৮ লক্ষ প্রতিষেধক এসে পৌঁছেছিল যার সঙ্গে এই ১লক্ষ যুক্ত হল। রাজ্য এই দফায় প্রতিষেধক উৎপাদকদের কাছ থেকে কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড মিলিয়ে মোট ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার ডোজের বরাত দিয়েছিল রাজ্য সরকার। আপাতত তার ১ লক্ষ এসে পৌছালো।

এদিকে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি লাগাম ছাড়া। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ হাজার ৪৩৬। আর এই নিয়ে রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়াল সাড়ে ৯ লক্ষ। দৈনিক মারণ ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যাও রেকর্ড ১২৭। তাই ভ্যাকসিন আসার সঙ্গে সঙ্গে তা বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে।

তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়েই প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য কে প্রয়োজনীয় সাহায্য করার কথা বলেন। ওই চিঠির জবাব প্রধানমন্ত্রী না দিলেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন প্রত্যুত্তরে জানান, কোভিড মোকাবিলা রাজ্যের পাশে রয়েছে কেন্দ্র। সম্ভাব্য সমস্ত রকমের সহযোগিতা করা হচ্ছে এবং করা হবে।

রাজ্যের তরফে জানানো হয় করোনা মোকাবিলায় টিকাকরণের গতি বাড়াতে আরও ভ্যাকসিনের বরাত দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‌যে পরিমাণ ভ্যাকসিনের দরকার ছিল তা এখনও জোগান দিয়ে উঠতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার।’‌ অন্য দিকে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পাশাপাশি তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার উপক্রম। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্র পরিকল্পনা নিচ্ছে। রাজ্য গুলির চাহিদার সঙ্গে উৎপাদনের সামঞ্জস্য বজায় রেখেই সুষম বন্টন নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন উৎপাদন হচ্ছে তেমনটাই রাজ্য গুলিকে পাঠানো হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular