Homeএখন খবরআবারও আত্মহত্যা মেধাবিনী ছাত্রীর! এবারও পরিবারের দাবি পরীক্ষা বাতিলেই এই সিদ্ধান্ত

আবারও আত্মহত্যা মেধাবিনী ছাত্রীর! এবারও পরিবারের দাবি পরীক্ষা বাতিলেই এই সিদ্ধান্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা: ফের এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছাত্রীর আত্মহত্যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো। পরিবারের দাবি করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই মনমরা হয়েছিল ওই ছাত্রী। জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর নাম স্বপ্না হাজরা। বাড়ি নদিয়া জেলার শান্তিপুর থানা এলাকায়। এই নিয়ে পরীক্ষা বাতিলের পর অন্ততঃ ৩ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল যেখানে পরিবারের দাবি পরীক্ষা বাতিলের জেরেই মানসিক অবসাদে এই ঘটনাগুলি ঘটেছে।

উল্লেখ্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা করা হয় ৭ই জুন আর তার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ৮ই জুন প্রথম এক মাধ্যমিক ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। কোচবিহারের সেই ছাত্রী বর্ণালী বর্মন সুইসাইড নোটে জানিয়েছিলেন, বাবাকে দেওয়া রাজ্যের প্রথম দশে থাকার কথা সে রাখতে পারলনা বলেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিল সে। পরিবার পুলিশকে জানিয়েছে, বাতিলের খবর পাওয়ার পর থেকেই চুপচাপ হয়ে যায় বর্ণালী। বিকেল থেকেই বাড়ির কারোর সঙ্গেই কথা বলছিল না সে। রাতে খাওয়ার সময় তাকে ডাকাডাকি করেও তার সাড়া পায়নি। এরপরই তারা ঘরের দরজা ভেঙে দেখে তার শরীর ফ্যান থেকে কাপড়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। পুলিশ মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে লাল কালিতে লেখা ছিল ‘তোমার কাজের দায়িত্ব নিতে পারলাম না বাবা। ’

সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আরেক মাধ্যমিক ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে নদিয়ার শান্তিপুরে। শান্তিপুরের আরাবান্দি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বড় জিয়াকুর এলাকার বাসিন্দা খুকুমণি।গত বছর মাধ্যমিকে অকৃতকার্য হয়েছিল সে।এই বছর যাতে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে পারেন, সে ব্যাপারে জোরকদমে প্রস্তুতি নিয়েছিল ।কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পরে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন সে। তার ধারণা হয় মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পাশ করতে পারবেনা সে। তারপরই বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন ওই ছাত্রী।

এবার সেই ঘটনার সপ্তাহ খানেকের মাথাতেই ফের সেই নদিয়ার আরেক ছাত্রীর আত্মঘাতীর হওয়ার ঘটনা সামনে এল। এবারেও পরিবারের দাবি পরীক্ষা বাতিল হওয়াতেই এমন সিদ্ধান্ত। স্বপ্নার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ১৮ বছরের স্বপ্না শান্তিপুরের বাগআঁচড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ছিলেন। স্বপ্না বরাবরই পড়াশোনায় খুব ভালো ছিলেন। মাঝেমধ্যে পড়াশোনার জন্য অতিরিক্ত চাপও নিতেন তিনি। পরীক্ষা বাতিলের কথা জানার পর থেকেই বেশ কিছুদিন ধরে পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। সবসময়ই মনমরা হয়ে পড়ে থাকতেন তিনি।

বুধবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ স্বপ্নার দাদা পলাশ বোনকে ডাকতে গিয়ে দেখেন, গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলছে তাঁর দেহ। সঙ্গে সঙ্গে মা’কে গিয়ে খবর দেন। প্রতিবেশীরাও পুরো ব্যাপারটি জেনে যায়। তড়িঘড়ি স্বপ্নাকে শান্তিপুর স্টেট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা স্বপ্নাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, স্বপ্নার দেহকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে তার ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।

RELATED ARTICLES

Most Popular