Homeএখন খবর২০২১ উৎরাতে অনুব্রতর মহাবিজয় যজ্ঞ! ভগবানকে ঘুষ দিয়ে লাভ হবে না,...

২০২১ উৎরাতে অনুব্রতর মহাবিজয় যজ্ঞ! ভগবানকে ঘুষ দিয়ে লাভ হবে না, কটাক্ষ দিলীপের

অশ্লেষা চৌধুরী: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভের লক্ষ্যে অনুব্রতর পৌরহিত্যে মহাজজ্ঞ, ঢালা হল ১২৮ ক্যুইন্টাল বেল কাঠ ও ৪০ কিলোগ্রাম ঘি। ভোতের আগে ভগবানকে ঘুষ দিয়ে লাভ নেই, কটাক্ষ দিলীপের। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের কামনা করে মহাবিজয় যজ্ঞের আয়োজন করেন বীরভূমের কেষ্ট দা তথা অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার বীরভূমের কঙ্কালীতলায় এই যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। আর যজ্ঞে ব্যবহার করা হয় ১২৮ ক্যুইন্টাল বেল কাঠ ও ৪০ কিলোগ্রাম ঘি। সেই সাথেই এদিনের যজ্ঞে ছিল খিচুড়ি ভোগের আয়োজন।

১২ জন পুরোহিত এই যজ্ঞানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। যজ্ঞাগ্নির কাছে তৃণমূলের জন্য ২২০ – ২৩০টি আসন প্রার্থনা করেন তিনি। সঙ্গে দীর্ঘায়ু চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন অনুব্রত বলেন, বীরভূমের ১১টি আসনের মধ্যে ৯টি আসন তৃণমূলের দখলে। বাকি ২টি আসনেরও দখল নেবেন তাঁরা। জেলা থেকে সাফ হবে পদ্মফুল। অনুব্রত ছাড়াও জেলা তৃণমূলের তাবড় নেতারা যজ্ঞে হাজির হয়েছিলেন। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে অনুব্রতের এই যজ্ঞকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার ভোরে নিউ টাউনের ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ সেরে দিলীপ বলেন, ‘ও তো লোকসভা নির্বাচনের আগেও যজ্ঞ করেছিল। ফল কি কিছু হয়েছে? তৃণমূলের ১২টা আসন কমেছে। সারা বছর লুঠপাট করে ভোটের আগে ভগবানকে ঘুষ দিয়ে লাভ হয় না।’ সেইসাথেই তিনি বলেন, ‘২২০ নয়, ১২০ আসনের প্রার্থনা করতে বলুন। ভগবান যদি দয়া করেন। বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ২০০ আসন পাচ্ছেই।’

সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর রাজ্য জুড়ে তুঙ্গে সেই প্রস্তুতি। নিজেদের জয়ের লক্ষ্যে ময়দানে নেমেছে শাসক থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিরোধী দলগুলি। তবে
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর তাতে জয়লাভের প্রস্তুতির লক্ষ্যে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে শাসক থেকে শুরু করে সমস্ত বিরোধীদলগুলি। নানানভাবে প্রচার চালাতে ব্যস্ত তারা। আর শাসকদলের জয়ের লক্ষ্যেই তাই অনুব্রতের এই মহাবিজয় যজ্ঞের অনুষ্ঠান এত ঘটা করে। আর এটা এইবারেই যে প্রথম, তা কিন্তু নয়। এর আগেও এমন যজ্ঞানুষ্ঠান করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
তবে, কেবলমাত্র পদ্ম শিবিরকে পরাজিত করতে এত টাকা ব্যয় করে কোটি কোটি গরীবের দেশে এই ভাবে যজ্ঞ করাকে তৃণমূলের সাম্প্রদায়িক প্রতিযোগিতা বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ।

RELATED ARTICLES

Most Popular