Homeএখন খবরঅনুব্রতের হুঙ্কার মেনেই বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে ঝুলল তৃনমূলের পতাকা! বিতর্কে সরগরম শান্তিনিকেতন

অনুব্রতের হুঙ্কার মেনেই বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে ঝুলল তৃনমূলের পতাকা! বিতর্কে সরগরম শান্তিনিকেতন

নিজস্ব সংবাদদাতা: তিনি অনুব্রত মন্ডল যিনি শুধু গর্জাননা, বর্ষানও। তেমনটাই দেখিয়ে দিলেন। মঙ্গলবার বোলপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোড শো। আর তার আগেই বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস ছেয়ে দেওয়া হল তৃণমূলের দলীয় পতাকায়। বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তা-সহ একাধিক এলাকায় দেখা গেল তেরঙা পতাকায় ফুটে রয়েছে ঘাসের ওপর জোড়া ফুল।
দিন সাতেক আগে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আসার সময় বীরভূমের তৃনমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডল বলেছিলেন, ‘এতদিন বিশ্বভারতী নিয়ে রাজনীতি করিনি। এবার আর হাত গুটিয়ে বসে থাকব না।’

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ বিজেপি নেতাদের কেন বিশ্বভারতীতে ঢুকতে দেওয়া হবে তাই নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তখনই তুলোধোনা করে অনুব্রত বলেন, ‘উপাচার্য পদে থেকে উনি যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপিকে নিয়ে পাগলামিতে শামিল হন তাহলে ছেড়ে কথা বলব না। বিশ্বভারতীতে ঢুকে তৃণমূলের পতাকা টাঙিয়ে দেব। এত দিন বিশ্বভারতী নিয়ে মাথা ঘামাইনি আমরা। রাজনীতি করিনি। এবার আমরাও সক্রিয় রাজনীতি করব।’

এরপর সত্যি সত্যি মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাসনা গৃহের সামনে এবং সংলগ্ন রাস্তায় টাঙানো হয়েছে প্রচুর দলীয় পতাকা। এ ছাড়া ক্যাম্পাস লাগোয়া লজ রোডেও রয়েছে ঘাসফুলের প্রতীক। স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠানে এমন রাজনৈতিক দলের পতাকা টাঙানোয় শুরু হয়েছে বিতর্ক।সম্প্রতি অমিত শাহ-র র‍্যালির আগেও প্রায় একই ভাবে বিতর্কে জড়িয়েছিল বিজেপি। বিশ্বভারতীর গেটের মুখে দেওয়া হয়েছিল অমিত শাহ ও অনুপম হাজরার ছবি দেওয়া পোস্টার৷ পোস্টারেও অমিত শাহের নীচে কবিগুরুর ছবি দেওয়ায় অবমাননার অভিযোগ উঠেছিল।

বিশ্বভারতীর শতবর্ষের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ না জানানোর অভিযোগ ঘিরে কেন্দ্র রাজ্য সংঘাতের আবহও তৈরি হয়েছে। চলছে তৃণমূল বিজেপি চাপান-উতর। তার মধ্যেই ক্যাম্পাসের অন্দরে তৃণমূলের দলীয় পতাকায় মুড়ে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে শিক্ষা মহলের একাংশে। ভুবনডাঙ্গার মেলার মাঠে প্রাচীর থেকে অমর্ত্য সেনের জমি বিতর্ক থেকে একের এক সম্পর্কের অবনতি হয়েই চলেছে। যার চূড়ান্ত পরিণতি হয় সোমবার। বিশ্বভারতীকে দেওয়া একটি রাস্তা ফেরৎ নিয়ে নেয় রাজ্য। আর তারপরই মঙ্গলবার মূখ্যমন্ত্রীর রোড-শোয়ের আগে এই ঘটনা।যদিও সরকার এবং বিশ্বভারতীর এই প্রাতিষ্ঠানিক বিরোধের মধ্যে রাজনৈতিক দল ঢুকে পড়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত তাই নিয়ে সরগরম হয়ে উঠেছে শান্তিনিকেতন চত্বর।

RELATED ARTICLES

Most Popular