Homeএখন খবরকদর বাড়ল বিভীষনের! অমিত শাহের পর তাঁর বাড়ীতে তৃনমূল নেত্রী

কদর বাড়ল বিভীষনের! অমিত শাহের পর তাঁর বাড়ীতে তৃনমূল নেত্রী

নিউজ ডেস্ক: কদর বাড়ল বিভীষনের! অমিত শাহের পর তাঁর বাড়ীতে তৃনমূল নেত্রী। বঙ্গ সফরে দুদিনের জন্য এসেছিলেন অমিত শাহ। সফর সূচির প্রথম দিনেই বাঁকুড়ার চতুরডিহি গ্রামে দলীয় কর্মী বিভীষণ হাঁসদা বাড়ীতে মধ্যাহ্ন ভোজন সারেন তিনি। অমিত শাহের সফর শেষে করার পরপরি তারারাতি সেই সেই বিভীষণের বাড়ীর দরজায় কড়া নাড়েন বাঁকুড়া জেলা পরিষদের এক তৃণমূল নেত্রী। তাও দলের অজান্তেই। আর তাঁর এই কাণ্ড ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এমনকি দলও নেত্রীর প্রতি ক্ষুদ্ধ।

সূত্রের খবর, সোনাই দেবী বিভীষণ বাবুর বাড়ী গিয়ে তাঁর স্ত্রীকে শাড়ি উপহার দেন। তাঁদের পরিবারের সমস্যার কথাও জানতে চান তিনি। সেই পরিবারটির হাতে চাল, ও কিছু আর্থিক সাহায্য তুলে দেন তৃণমূলের ওই নেত্রী। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সোনাই দেবী বলছেন, লকডাউন শুরুর প্রথম থেকেই তিনি গরিব ও দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তা করছেন। একই কারণে বিভীষণ বাবুর বাড়ীতেও গিয়েছেন তিনি।

এই বিষয়ে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘আমাদের কিছু না জানিয়েই ওই জেলা পরিষদ সদস্যা সোনাই মুখোপাধ্যায় বিভীষণ বাবুর বাড়ী গিয়েছেন। বিষয়টি আমরা ভালভাবে নিইনি।’

এদিকে দলের অন্দরে বিরোধ বাঁধলেও সোনাই দেবী বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছিলাম, বিভীষণ বাবুর পরিবারে কিছু সমস্যা রয়েছে। মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের দলের আদর্শ। তবে আমি দলের কয়েকজন নেতাকে জানিয়েই গিয়েছিলাম।’

তবে অমিত শাহের বিভীষণের বাড়ীতে মধ্যাহ্ন ভোজন নিয়ে শাসক দল রাজনীতি করবে এবং বিভীষণ বাবুকে দলে যোগ দিতে তৃণমূল চাপ দেবে বলে প্রথম থেকেই অভিযোগ করছিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। আর তৃণমূল নেত্রীর এই কর্মকাণ্ডে তারাও কটাক্ষ করার সুযোগ পেলেন। এই বিষয়ে, বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘‘কেন্দ্র থেকে পাঠানো চাল নিজেদের নামে বিলি করে বেড়াচ্ছে তৃণমূল। অমিত শাহ আসার আগে কেন পরিবারটির কথা মনে পড়েনি তাদের?”

অন্য দিকে বিজেপি‌র বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের কটাক্ষ, ‘বিভীষণ বাবুর বাড়ীতে অমিত শাহজি যাওয়ার পরই ওই তৃণমূল নেত্রী তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েছেন। আসলে তৃণমূল যা করে, সবই ভোটের স্বার্থে।’

এ প্রসঙ্গে অবশ্য বিভীষণ বাবু জানিয়েছেন, “ওই মহিলা নিজেকে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যা হিসাবে পরিচয় দিয়ে আমার বাড়ীতে এসেছিলেন। চাল, কাপড় দিয়ে ছবি তুলে নিয়ে গিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে উত্তরবঙ্গ সফরের সময় গীতা মাহালির বাড়ীতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন অমিত শাহ। পরদিনই সেখানে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব। পরে তৃণমূলে যোগদান করেন গীতা মাহালি। গত বৃহস্পতিবার তাঁকে স্পেশ্যাল হোমগার্ডে চাকরির নিয়োগপত্রও দিয়েছে রাজ্য সরকার।

RELATED ARTICLES

Most Popular