Homeএখন খবররাজ্য সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই গড়াবে টয় ট্রেনের চাকা, প্রস্তুত রেল

রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেত পেলেই গড়াবে টয় ট্রেনের চাকা, প্রস্তুত রেল

অশ্লেষা চৌধুরী: আর কোনও বাধা নেই, রাজ্য সরকার সবুজ সংকেত দিলেই চাকা গড়াবে টয় ট্রেনের। সোমবার টয় ট্রেনের ট্র্যাক সহ স্টেশন গুলির বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখে এমনটাই জানালেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীব রায়।

করোনা ভাইরাসের মহামারীর লকডাউনের সময় থেকেই বন্ধ রয়েছে দার্জিলিংয়ের অন্যতম আকর্ষণ টয় ট্রেন। এরপরে আনলক পর্বে বেশ কিছু স্পেশাল ট্রেন চালানো হলেও এখনও বন্ধ রয়েছে দার্জিলিংয়ের ট্রয় ট্রেন। আনলক পর্বে পাহাড়ে পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে সরকারের কোভিড গাইডলাইন মেনে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে পাহাড়। এখন পাহাড়ে চলছে ভরা পর্যটন মরশুম। ধীরে ধীরে পর্যটকদের পা পড়তে শুরু পাহাড়ে, যদিও অন্যবারের তুলনায় ভিড় অনেকটাই কম। আর দার্জিলিঙে আসা পর্যটকদের কাছে কাঞ্চনজঙ্ঘার পরের আকর্ষণই হচ্ছে টয়ট্রেন । কিন্তু বেড়াতে এসে টয়ট্রেন না চড়েই ফিরে যেতে হচ্ছিল তাঁদের। এতে মুখের হাসি ম্লান হচ্ছিল তাঁদের। কিন্তু পর্যটকদের মুখে হাসি ফোটাতে ফের চালুর পথে টয় ট্রেন।

আর এই বিষয়টিকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই রেলের তরফে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসকের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের অনুমতি পেতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্যের পক্ষ থেকে এখনও কোনও উত্তর না আসায় পরিষেবা চালু করেনি দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। তবে, পরিষেবা যাতে খুব শীঘ্রই চালু করা যায় সেজন্য সমস্ত রকম প্রস্তুতি রাখতে সোমবার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জীব রায় সহ কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম রবীন্দ্র কুমার ভার্মা পরিদর্শনে আসেন।

এদিন সকালে শিলিগুড়ি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে সরাসরি মিনি শুকনায় গিয়ে ট্রেনে করে রংটংয়ে যান। একই সঙ্গে তারা টয় ট্রেনের বর্তমানে ট্র্যাকের অবস্থা এবং কাজকর্ম সহ স্টেশনের বর্তমান পরিকাঠামো সবকিছুই বিস্তারিত ভাবে খোঁজ-খবর নেন আধিকারিকদের কাছ থেকে। এরপরই রংটং স্টেশনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সঞ্জীব বাবু বলেন, ‘‘আমরা প্রস্তুত রয়েছি। এবার রাজ্য সরকার অনুমতি দিলে টয় ট্রেন চালাতে পারবে রেল। অন্তত ৩০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চালানো যাবে। এতে স্বাস্থ্যবিধি মানা যাবে।“

উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, “পাহাড় স্বাভাবিক হওয়ার পর পর্যটকরা আসছেন। টয় ট্রেনে ওঠার জন্য উৎসাহ বাড়ছে। তাই শীঘ্রই ট্রয়ট্রেন চালানোর আবেদন আমাদের।“

উল্লেখ্য, করোনা আবহের পূর্বে ১৯৮৮-৮৯ সালে গোর্খাল্যান্ডের আন্দলনের সময় এই ট্রেন চলাচল ১৮ মাস বন্ধ ছিল। আর এই ট্রেন, টয় ট্রেন হিসেবে বেশি পরিচিতি লাভ করলেও এর নাম দার্জিলিং হিমালয়ান রেল।

RELATED ARTICLES

Most Popular