ওয়েব ডেস্ক: অষ্টমীর রাতে বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় তৃণমূলের যোগ আছে, সেকথা আগেই দাবি করেছিল বিজেপি৷ বুধবার সেই ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাওড়ার বাগনান।এদিন দোষীদের শাস্তির দাবিতে বুধবার রীতিমতো বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের তরফে বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টার বাগনান বনধ ডাকা হয়েছে। পাশাপাশি এদিন বিজেপি নেতার খুনের ঘটনায় রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
এদিন এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর করে রীতিমতো আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। ঘটনায় বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, অষ্টমীর রাতে বাড়ির সামনে বসে থাকাকালীন আচমকা এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি বাগনানের বিজেপি নেতা কিঙ্কর মাঝিকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। ঘটনার পর দ্রুত তাকে কলকাতা এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বুধবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়ে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় বিজেপি নেতার।
ঘটনায় অভিযোগের তির শাসকদলের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে। এদিকে বুধবার বিজেপি নেতার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতা মূল অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালাতে শুরু করে। বাড়ির ভিতরে ঢুকে জিনিসপত্র বার করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে শেষমেশ লাঠি চার্জ করে। এদিকে খুনের অভিযোগ একেবারেই অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের দাবি, এই ঘটনার সাথে তাদের দল কোনোভাবেই যুক্ত নয়৷
এই ঘটনায় বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, “পশ্চিমবঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই বিজেপি কর্মীদের খুন করা হচ্ছে৷ এমনকি উৎসবের মধ্যেও তৃণমূলের পোষা গুন্ডারা খুনের ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন। যার জেরে প্রাণ গেল আরও ১ জন নির্ভিক বিজেপি কর্মীর। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে রোখা যাবে না। আসন্ন নির্বাচনে মানুষ এর জবাব দেবে।”