Homeএখন খবরক্যান্সার গবেষণায় নতুন পথের দিশারী 'বঙ্গকন্যা'

ক্যান্সার গবেষণায় নতুন পথের দিশারী ‘বঙ্গকন্যা’

ওয়েব ডেস্ক: আমরা সকলেই জানি মারণ রোগ ক্যান্সার একবার শরীরে প্রবেশ করলে খুব অল্প সময়েই জাঁকিয়ে বসে রোগীর শরীরে। এরপর প্রাণবন্ত সেই মানুষটিকে ধীরে ধীরে নিস্তেজ করে একেবারে মৃত্যুর মুখে নিয়ে যায়। বর্তমানে ক্যান্সার এমনই একটি রোগ যে কিনা দুধের শিশু থেকে বয়স্ক, কাউকেই মাফ করে না। তবে এবার ফুসফুসের ক্যান্সারকে হার মানাতে এক অভিনব ওষুধ আবিষ্কার করলো আমেরিকার মেমোরিয়াল স্লোয়ান কেটারিং ক্যানসার রিসার্চ সেন্টারের অধ্যাপক এবং গবেষক ডঃ ত্রিপর্ণা সেন।

ত্রিপর্ণা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিওলজিতে স্নাতক হওয়ার পর ২০১১ তে জেনেটিক্স নিয়ে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। এরপর ২০১৪ তে পোস্ট ডক্টরেট করতে আমেরিকায় পাড়ি দিয়ে ৫ বছরেও বেশি সময় ধরে ক্যানসার গবেষণায় ব্রতী হয়েছেন এই বাঙালী কন্যা।

ত্রিপর্ণার গবেষণায় ক্যানসার প্রতিরোধে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়া প্রোটিন নিয়ে বেশ কিছু নতুন তথ্য উঠে এসেছে।

জানা গিয়েছে, মানবশরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় অংশগ্রহণকারী কোষগুলিতে রয়েছে এমএইচসি১। যা নিউক্লিয়েটেড কোষ-দেওয়ালের উপরে খাঁড়ার মতো থাকে। এককথায় এদেরকে বলা হয় শরীরের দারোয়ান। বাইরের কোনও জীবাণু শরীরে ঢুকলে এরাই দেহের ‘ইমিউন সিস্টেম’কে চিনিয়ে দেয়। ‘স্মল সেল লাং ক্যানসার’ হলে শরীরে এমএইচসি১-এর ঘাটতি দেখা দেয়।

ত্রিপর্ণা তাঁর গবেষণায় এমন কিছু ওষুধ ব্যবহার করেছেন যা মানব শরীরে এমএইচসি১-এর উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে এবং ক্যানসার কোষগুলিকে সম্পূর্ণরূপে মেরে ফেলবে।

এবিষয়ে বাঙালী গবেষক ত্রিপর্ণা সেন জানান, ‘‘অনেক সময় মিউটেশনের কারণে কোনও কোষের জিন সিকোয়েন্সে বদল হয়। এই মিউটেনশনগুলিই ক্যানসার সেলকে অমরত্ব দান করে।’’

তাঁর দাবি, এই ওষুধ ব্যাবহারের মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই ক্যানসারের সেলকে নষ্ট করে দেওয়া সম্ভব। ফলে বঙ্গকন্যার এই ওষুধ যে ভবিষ্যতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে আশার আলো দেখাবে তা বলাই বাহুল্য।

RELATED ARTICLES

Most Popular