Homeএখন খবরমাঝ গঙ্গায় দুই জাহাজের ধাক্কায় আগুন লেগে ডুবে গেল বাংলাদেশের জাহাজ, কোটি...

মাঝ গঙ্গায় দুই জাহাজের ধাক্কায় আগুন লেগে ডুবে গেল বাংলাদেশের জাহাজ, কোটি কোটি টাকার ক্ষতি, উদ্ধার ১৩নাবিক

নিজস্ব সংবাদদাতা: দক্ষিন ২৪পরগনা জেলার মহেশতলা বরাবর মাঝ গঙ্গায় দুটি জাহাজের মুখোমুখি সংঘর্ষে আগুন লেগে ডুবে গেল বাংলাদেশের একটি মালবাহী জাহাজ। ঘটনার জেরে কোটি টাকার ওপরের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই জাহাজের জীবন্ত সলিল সমাধি দেখতে নদীর পাড়ে ঢল নামে মানু্ষের। কলকাতা বন্দর সূত্রে জানা গেছে বাংলাদেশের পণ্যবাহী ওই জাহাজের সংঘর্ষ হয় কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টেরই একটি জাহাজের সঙ্গে। আর তারফলেই প্রথমে আগুন লেগে যায় বাংলাদেশের জাহাজ ‘এমভি মমতাময়ী মা’।

 

বৃহস্পতিবারই ফ্লাই অ্যাশ নিয়ে বজবজ থেকে রওনা হওয়ার পর মহেশতলার আক্রার কাছে আজ দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জাহাজটি ফ্লাই অ্যাশ ভর্তি থাকায় জলে ডোবার পর অগ্নিসংযোগের ফলে আগুন ও ধোঁয়া বেরতে দেখা যায়। এই সংঘর্ষের জেরে বাংলাদেশির জাহাজের উপর পড়ে গিয়ে এক নাবিক আহতও হন। তাঁকে সমেত জাহাজের বাকিদের লাইফ জ্যাকেট দিয়ে উদ্ধার করে আরেকটি বাংলাদেশি জাহাজ।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের জাহাজ এমভি মমতাময়ী এবং এমভি সানি-১ সিইএসসি’র ফ্লাই অ্যাশ নিয়ে বজবজ থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল আজ সকালে। উলটোদিক থেকে কলকাতা বন্দরের দিকে ঢুকছিল পোর্ট ট্রাস্টের একটি জাহাজ।  মহেশতলার আক্রার কাছে  পোর্ট ট্রাস্টের জাহাজটির সঙ্গে এমভি মমতাময়ী মা জাহাজটির ধাক্কা লাগে। পোর্ট ট্রাস্টের জাহাজটির তুলনায় বাংলাদেশি জাহাজ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

 

ডুবন্ত অবস্থাতেই সেটি পাড়ের দিকে আসার চেষ্টা করে। কিন্তু স্রোতের টানে বেশি দূর আসতে ব্যর্থ হয়। বাটানগরের কাছে পাড়ে দাঁড়িয়ে পড়ে সেটি। উদ্ধারকারী দল সেখানে গিয়ে জাহাজ দুটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলেও, এমভি মমতাময়ী মা ধীরে ধীরে ডুবতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে সেটি ডুবে যায়।
অন্যদিকে, হুগলি নদীর একেবারে মাঝখান থেকে পোর্ট ট্রাস্টের জাহাজটিকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবারের দিকে নিয়ে আসা হয়। এমভি সানি-১ জাহাজটিও বাংলাদেশের ফ্লাইঅ্যাশ নিয়ে যাচ্ছিল। সংঘর্ষের পর এই এমভি সানি-১ জাহাজটি এমভি মা মমতাময়ীর কাছে চলে আসে এবং মমতাময়ী বাংলাদেশি জাহাজের ১৩ জন ক্রু-কে লাইফ জ্যাকেট দিয়ে উদ্ধার করে নিজেদের জাহাজে তুলে নেয়।

 

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন্দর থানার পুলিশ। কিভাবে এই মুখোমুখি সংঘর্ষ হলো তার তদন্ত শুরু করেছে পোর্ট ট্রাষ্টও। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই । ইতিমধ্যেই ১৩ জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। আহত নাবিককে ভর্তি করা হয়েছে নিকটবর্তী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।

RELATED ARTICLES

Most Popular