Homeএখন খবরনারায়নগড়ের বিডিও করোনা আক্রান্ত, বিডিও সহ ৬জন কোয়ারেন্টাইনে, সোমবার স্যানিটাইজ হবে বিডিও...

নারায়নগড়ের বিডিও করোনা আক্রান্ত, বিডিও সহ ৬জন কোয়ারেন্টাইনে, সোমবার স্যানিটাইজ হবে বিডিও অফিস

নিজস্ব সংবাদদাতা: চন্দ্রকোনা ১ ও কেশিয়াড়ির পর এবার করোনার থাবায় নারায়নগড়ের বিডিও । শনিবার আ্যন্টিজেন পরীক্ষায় বিডিও বিশ্বজিৎ ঘোষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তিনি নিজের আবাসনেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর বিডিওর আরটি/পিসিআর পরীক্ষা করা হবে যতক্ষন না এই গোল্ডেন স্ট্যান্ডার্ড পরীক্ষার ফল পাওয়া যায় ততক্ষন তিনি আইসোলেশনেই থাকবেন। উল্লেখ্য কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা ছাড়া আ্যন্টিজেন পরীক্ষায় কেউ পজিটিভ হলে তাঁকে পজিটিভ বলেই ধরে নেওয়া হয় কিন্তু আ্যন্টিজেন পরীক্ষায় কেউ নেগেটিভ হলেও তাঁকে নেগেটিভ ধরে নেওয়া হয়না। সেক্ষেত্রে আরটি/পিসিআর পরীক্ষায় তাঁর পজিটিভ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ব্যতিক্রমী ঘটনা কয়েক দিন আগেই ঘটেছিল দাঁতনের এক চিকিৎসকের বেলায় যিনি আ্যন্টিজেনে পজিটিভ হওয়া স্বত্ত্বেও পরে আরটি/পিসিআর
পরীক্ষায় নেগেটিভ হন। সেই দৃষ্টান্ত থেকে সামনে রেখেই নারায়নগড়ের বিডিওর ফের আরটি/পিসিআর পরীক্ষা অর্থাৎ নাক ও মুখ থেকে লালারস সংগ্ৰহ করে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে দু’এক দিন সামান্য তাপমাত্রা অনুভব করছিলেন বিডিও। সামান্য দুর্বলতাও ছিল। তারই মধ্যে কাজ করছিলেন। শনিবার ১৫ই আগস্টের মধ্যেও কিছু অফিসিয়াল কাজ সেরেছেন। দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের একটি দল নারায়নগড়ে এসেছিলেন উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তদের জন্য প্রস্তাবিত একটি সেফ হোমের পরিকাঠামো পরিদর্শন করতে। বিডিও তাঁদের সঙ্গে ছিলেন। এরপর আবাসনে ফিরে বেশ ভাল পরিমানে দুর্বলতা অনুভব করেন। এরপরই স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি সন্ধ্যাতেই তিনি বেলদা গ্রামীন হাসপাতালে গিয়ে আ্যন্টিজেন পরীক্ষা করেন, সেখানেই জানা যায় পজিটিভ। এরপরই ঘোষ নিজেকে আইসোলেশনে সরিয়ে নেন।
নারায়নগড় বিডিও জানিয়েছেন, “আমার সরাসরি সংস্পর্ষে এসেছিলেন এমন ৫ জনকেও কোয়ারেন্টাইনে যেতে বলেছি। সোমবার পুরো বিডিও অফিস স্যানিটাইজ করা হবে। সোমবারই ওই পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানতে পেরেছি।”
উল্লেখ্য এই নিয়ে জেলায় তৃতীয় কোনও বিডিও করোনা আক্রান্ত হলেন। এর আগে চন্দ্রকোনা ১ বিডিও ও কেশিয়াড়ির বিডিও আক্রান্ত হয়েছিলেন। বর্তমানে তাঁরা ভালই আছেন। করোনা মুক্ত হয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন তাঁরা। চন্দ্রকোনা এলাকায় করোনা সংক্রমন শুরু থেকেই দেখা গিয়েছিল। ফলে আগেই আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। কেশিয়াড়ি এলাকায় সেই অর্থে খুব বড় আকারে করোনার প্রকোপ না দেখা দিলেও বিডিও আক্রান্ত হওয়ার পেছনে কলকাতা যোগ ছিল বলে মনে করা হয় কারন তিনি কলকাতা থেকে ফিরেই আক্রান্ত হন। অন্যদিকে গত দেড় মাস ধরে বেলদা ও নারায়নগড় এলাকায় করোনার প্রকোপ ভাল আকারে দেখা দিয়েছে। সেখান থেকেই বিডিও আক্রান্ত হয়েছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular