Homeহেঁসেলিয়ানাহেঁসেলিয়ানা : হেলদি হরলিকস্ কেক ও বীট গাজরের কচুরি: পম্পা জানা

হেঁসেলিয়ানা : হেলদি হরলিকস্ কেক ও বীট গাজরের কচুরি: পম্পা জানা

হেলদি হরলিকস্ কেক ও বীট গাজরের কচুরি                                   পম্পা জানা              হেলদি হরলিকস্ কেক
ছোট,বড় এক কথায় আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে খুব পছন্দ করে। মিষ্টি পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। কিন্তু বর্তমানে মিষ্টি খাওয়ার উপরে বিরাট নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু না মন মানে না জীভ মানে। কিন্তু আমাদের কে তো সব দিকটাই সামলাতে হবে। একদিকে মিষ্টি খাওয়ায় ইচ্ছে আর অন্য দিকে স্বাস্থ্যর কথা ভেবে আজকের রান্না সুস্বাদু, স্বাস্থ্যকর হরলিক্স কেক।

উপকরণ:-

(১)- আটা—-১কাপ
(২)সুজি—-১/২কাপ
(৩) রিফাইন্ড তেল—১/৪কাপ
(৪) হরলিক্স—৪চামচ(টেবিল)
(৫) চিনি/সুগার ফ্রি—১/২কাপ
(৬) দুধ—প্রয়োজন মতো
(৭) বেকিং পাউডার—১চামচ (চা)
(৮) বেকিং সোডা—১/৪চামচ(চা)

প্রনালীঃ- প্রথমে একটি পাত্রে আটা,সুজি,তেল, হরলিক্স, চিনি,দুধ দিয়ে মেখে একটি ঘন ব্যাটার করতে হবে। ব্যাটার টিকে ১/২ ঘন্টা ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে।যাতে সুজিটা ভালো করে ভিজে যায় আর চিনি টা ভালো করে গলে যায়।১/২ঘন্টা পর বেকিং পাউডার ও বেকিং সোডা দিয়ে আবার মাখাতে হবে।যদি এই সময় দুধ লাগে তা দিতে হবে।ব্যাটার টা চামচে করে তুলে ফেললে যেন ফিতার মতো পড়ে। তাহলেই বুঝতে হবে ব্যাটার রেডি। এরপর কেকটিনে বা কোনো সিলভার এর বাটিতে তেল ভালো করে লাগিয়ে ব্যাটার টা ঢেলে দিতে হবে। একটি কুকার এ কিছুটা নুন দিয়ে গরম করে নিয়ে, একটি স্ট্যান্ড বসিয়ে কেকটিন টা বসিয়ে দিতে হবে। সিটি ও রাবার খুলে ঢাকনা লাগিয়ে প্রথমে ৫মি: হাই, পরে ৪০-৪৫মি: লো ফ্লেমে গ্যাস ওভেন এ রাখতে হবে।৪৫-৫০ মি: পর কেক রেডি। তবে দেখে নিতে হবে হয়েছে কি না? ছুরি দিয়ে। না হলে আরো ৫-১০ মি: অপেক্ষা করতে হবে।

বীট গাজরের কচুরি


বাচ্চারা তাে গাজর বীট দেখলেই নাক সিটকায় কিছু বড়রাও আছে এই দলে। তাই গাজর বীট দিয়ে অন্যরকম কিছু করি যা দেখতেও সুন্দর, খেতেও সুস্বাদু আবার স্বাস্থ্যকর। আর বাচ্চা বড়াে সবাই গরম মুচমুচে তেলেভাজা হলে তাে কথাই নেই। ” বীট গাজরের কচুরি’। উপকরণ: (১) ময়দা- ২ কাপ (২) সয়াবিন তেল-পরিমাণ মতাে (৩) কালােজীরে- ১/২ চামচ (৪) জোয়ান- ১/২ চামচ (৫) লবণ- স্বাদ মতাে (৬) লঙ্কা গুঁড়াে- পরিমাণ মতাে (৭) আদাবাটা- ১/২ চামচ (৮) বীট- ১ টা (৯) গাজর- ১ টা (১০) আলু- ১ টা (১১) চিনা বাদাম- সামান্য

পদ্ধতি: প্রথমে ময়দার সঙ্গে তেল, সামান্য লবণ, কালাে জীরে সামান্য, জোয়ান সামান্য দিয়ে ভালাে করে মেখে নিতে হবে। ঠিক যেমন করে লুচির ময়দা মাখা হয়। এরপর তা ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে কিছুক্ষণ। এরপর আগে থেকে সিদ্ধ করে রাখা গাজর, বীট ও আলু কে চুরে নিতে হবে। এখন কড়াই গরম করে সামান্য তেল দিয়ে তাতে কালােজীরে, জোয়ান দিতে হবে, এই সময় বাদাম টাও দিতে হবে, এরপর হলুদ গুঁড়াে, লঙ্কা গুঁড়াে, ও আদাবাটা দিয়ে ভালাে করে কষিয়ে নিতে হবে, মশলা কষা হয়ে গেলে চুরে রাখা গাজর বীট ও আলু টা দিয়ে ভালাে করে কষতে হবে ও লবণ স্বাদমতাে দিতে হবে। এরপর সামান্য ভাজা জীরে গুঁড়াে দিয়ে ভালাে করে নেড়ে চেড়ে নামিয়ে নিতে হবে।

পুর টা ঠান্ডা হওয়ার পর, মাখানাে ময়দা টাকে বড় বড় কয়েকটি লেছি তে ভাগ করে নিতে হবে। এবার তাকে বেশ বড়াে করে রুটির মতাে বেলতে হবে। খুব পাতলা ও নয়, খুব মােটা ও নয় ।এখন ঐ রুটির একধারে পুর দিয়ে তার গােল করে রােলের মতাে মুড়ে নিতে হবে।একটু চেপে দিতে হবে যাতে খুলে না যায়। এবার ছুরি দিয়ে কেটে নিতে হবে একটু চওড়া করে। ঐ টুকরাে গুলাে কে এখন হাত দিয়ে দুপাশ থেকে চেপে দিতে হবে। এরপর কড়াই তে তেল দিয়ে হালকা আঁচে আস্তে আস্তে ভাজতে হবে। যেমন করে সিঙ্গাড়া ভাজা হয়। তৈরি গরমা গরম মুচমুচে বীট গাজরের কচুরি। টমেটো সস দিয়ে পরিবেশন করুন। আর সঙ্গে চা।

RELATED ARTICLES

Most Popular