Homeএখন খবরভারতীকে দেখতেই জন জোয়ার রায়দিঘি তে! তাঁকে দেখেই ফিসফিসিয়ে উঠল জনতা, 'অবিকল...

ভারতীকে দেখতেই জন জোয়ার রায়দিঘি তে! তাঁকে দেখেই ফিসফিসিয়ে উঠল জনতা, ‘অবিকল মমতা’

জনজোয়ার

নিজস্ব সংবাদদাতা: সেই তেজ, সেই দাপট আর সেই হুঙ্কার। পোডিয়াম ছেড়ে হাতে মাউথ স্পিকার নিয়ে মঞ্চের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে চলে যাওয়া বক্তব্য রাখতে রাখতে। ২০১১আগে রায়দিঘি এমনটাই দেখেছিল তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা ব্যানার্জীর বক্তব্য রাখার সময়। ১০ বছর পরে দেখল আরেক বিরোধী নেত্রী ভারতী ঘোষের জনসভায়। রায়দিঘির ভিড় তাই ফিসফিসিয়ে বলে উঠল, ‘অবিকল মমতা!’

বহুদিন এমন ভিড় দেখেনি রায়দীঘি, দেখেনি দক্ষিন ২৪ পরগনা । যদি হাঁড়ির একটা চাল টিপে ভাত হয়েছে কিনা বোঝা যায় তবে শনিবারের রায়দিঘি বলে দিচ্ছে সমগ্র দক্ষিন ২৪ পরগনাতেই শাসকের জন্য বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে জল। নদী প্লাবিত এই ব-দ্বীপে বাঁধ দিয়ে এ বিপদ রোখা হয়ত অসম্ভব। শনিবারের বিকালে মথুরাপুর বাজারে সদ্য পাশ হওয়া কৃষি বিলের সমর্থনে বিজেপির জনসভায় কার্যত ভিড় উপচে পড়েছিল আর সেই ভিড়ের প্রধান আকর্ষনই ছিলেন বিজেপির রাজ্য নেত্রী তথা রাজ্য পুলিশের প্রাক্তন আই.পি.এস অফিসার ভারতী ঘোষ।

আর তাঁকে দেখতেই জন জোয়ার নামল মথুরাপুরে। গাড়ি থেকে তিনি যখন মঞ্চের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন তখন ফের সেই শ্লোগানেই ফেটে পড়ল জনসভার স্থল। যে শ্লোগান একদিন মমতা ব্যানার্জীর জন্য দেওয়া হত “বাংলার অগ্নিকন্যা ভারতী দি জিন্দাবাদ।” ঠিক চারদিন আগেই এই একই শ্লোগান শোনা গেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের দেউলিয়া বাজারে ভারতী ঘোষের আরেকটি জনসভায়।

শনিবার রাজ্যের মূখ্যমন্ত্রী যখন কলকাতার রাজপথে উত্তর প্রদেশের হাসরথ কান্ডের প্রতিবাদে কলকাতার রাজপথে হাঁটছেন তখন রায়দিঘি বাজারে দাঁড়িয়ে ভারতী ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, “কামদুনি, বারাসত, পার্কস্ট্রিট, গঙ্গারামপুরের ঘটনার সময় আপনার পায়ে কী জোর ছিলনা?” ভারতী ঘোষ বলেন, ” আপনার যদি পায়ের জোর থাকে তবে এই রায়দিঘির রাস্তায় হেঁটে দেখান, রায়দিঘির বাজারে হেঁটে আসুন। আপনাকে এই জনতা ভোটে জিতে ক্ষমতায় পাঠিয়েছেন। আর আপনি হাঁটছেন কলকাতার ঝকঝকে তকতকে রাস্তায়! মাননীয়া আপনি তাহলে কামদুনি, পার্কস্ট্রিট, মালদা, গঙ্গারামপুরের ঘটনায় হাঁটেননি কেন?”

ভারতী যতই গলা চড়িয়েছেন ততই হাততালিতে ফেটে পড়েছেন উপস্থিত দর্শক শ্রোতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যতবার বাক্যবানে বিদ্ধ করেছেন ভারতী ততবারই উল্লাসে ফেটে পড়েছে জনতা। ঠিক এমনই হাততালি আর এমনই উল্লাস এক সময় বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য তুলে রাখত দক্ষিন ২৪ পরগনা। সভাটা কৃষি আইনের সভা ছিল ঠিকই কিন্তু মানুষের কৃষি আইন নিয়ে অথটা মাথা ব্যথা নেই যতটা যতটা আগ্রহ নিয়ে তাঁরা শুধুভারতী ঘোষকে দেখতে চাওয়া নিয়ে ছিল। ২০২১ তাই বিজেপিরবাইরে গিয়ে তৃণমূলের জন্য ভারতী ঘোষও আলাদা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে হচ্ছে। গত কয়েকদিন দেউলিয়া, রায়না, সবংয়ের পর শনিবারের রায়দিঘিও  যেন তেমনটাই  বলে দিল।

RELATED ARTICLES

Most Popular