Homeউত্তরবঙ্গআলিপুরদুয়ারদাঁতের কেরামতিতে বাজিমাত বিশ্বজিতের; পেলেন ইন্টারন‍্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডস ও ইন্ডিয়া বুক...

দাঁতের কেরামতিতে বাজিমাত বিশ্বজিতের; পেলেন ইন্টারন‍্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডস ও ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস কর্তৃপক্ষের স্বীকৃতি

নিজস্ব প্রতিনিধি, আলিপুরদুয়ার: দাঁতের কেরামতিতে বাজিমাত যুবকের; বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর সুনাম, তার দাঁতের কামাল দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে এসে ভিড় জমাচ্ছেন মানুষ, কখনও আবার তাঁকে ডেকে নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও। ওই যুবকের নাম বিশ্বজিৎ বর্মন। ভাবছেন কী এমন তার দাঁতের কেরামতি! কেরামতি হল, দাঁত দিয়ে মাত্র ৫৬ সেকেন্ডে পাঁচ পাচঁটি নারকেল ছুলে ফেলেন তিনি।

বিশ্বজিৎ ফালাকাটা কলেজের সংস্কৃত অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বাবা সামান্য কৃষক। কিন্তু ফালাকাটার দক্ষিণ ডালিমপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বর্মনের দাঁতের কেরামতির জেরেই তার সুনাম জেলা ছাড়িয়ে বাইরের জেলাতে ছড়িয়ে পড়েছে। কারন দাঁত দিয়ে মাত্র ৫৬ সেকেন্ডে পাচঁটি নারকেল ছুলে ফেলেন তিনি। আর তার দাঁতের কেরামতি দেখার জন্য বাড়িতে মানুষের ভিড় লেগেই রয়েছে। শুধু বাড়িতেই নয় বাইরের নানান জায়গা থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডাক আসছে বিশ্বজিতের । সেখানে দাঁতে নারকেল ছোলার শো করছেন বয়স একুশের এই যুবক।

সম্প্রতি ইন্টারন‍্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডস ও ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ বিশ্বজিতকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্বজিতের এই কাজে পরিবার সহ খুশি তার প্রতিবেশীরাও। কিন্তু সকলের যেখানে একটি নারকেল ছুঁলতেই দফারফা সারা হয়ে যায়; হাতুরি, বাটাল ও লোহার দা দিয়ে এক একটি নারকেল ছুলতে গিয়েও অনেকে হিমিশিম খেয়ে যায়, সেখানে খালি মুখে দাঁতের কেরামতিতে কীভাবে মাত্র ৫৬ সেকেন্ডে পাঁচ পাচটি নারকেল ছুলে ফেলেন বিশ্বজিত?

বিশ্বজিত বলেন, “এটা তেমন কিছু কঠিন কাজ নয়। আমি সেনা বাহীনিতে যোগদান করতে চাই। গ্রিনীস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে নাম তুলতে চাই। সেই কারনে নিয়মিত শারীরিক কসরত করি। আর করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে। ছোট থেকেই দাঁত দিয়ে নারকেল ছোলার অভ্যাস করছি আমি। এখন দাঁত দিয়ে নারকেল ছোলা আমার কাছে জলভাত।”

বিশ্বজিতের এই কেরামতিতে খুশি বিশ্বজিতের পরিবারের লোকেরাও। তার পিসি সন্ধ্যা বর্মন বলেন, “খুব গর্ব হয় ওর জন্য। কিন্তু ভয় হয় কখনও কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায় কিনা! তবে ও অনেক বড় হোক এটাই চাই।”

RELATED ARTICLES

Most Popular