Homeএখন খবরবালির পরাজিত প্রার্থী বৈশালীর ছেলেকে প্রকাশ্য দিবালোকে বেধড়ক মার, খোদ কলকাতায় মেরে...

বালির পরাজিত প্রার্থী বৈশালীর ছেলেকে প্রকাশ্য দিবালোকে বেধড়ক মার, খোদ কলকাতায় মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হল মুখ

নিউজ ডেস্ক:বৈশালী ডালমিয়া তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে একুশের বিধানসভা ভোটের আগেই গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়ে ছিলেন।বালি কেন্দ্র থেকেই বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন।যদিও পরবর্তীকালে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন তিনি। সোমবার তাঁর ছেলেকে বেধড়ক মারধর করা হল কলকাতার বুকেই। খোদ মহানগরের বুকে এমন ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠে গেল বিরোধীদের নিরাপত্তা নিয়ে। সোমবার ফেসবুক লাইভ করে এমন অভিযোগ তুলেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বৈশালী ডালমিয়া।সোমবার ফেসবুকে বৈশালী জানান, এদিন সকালে বেহালার বাজার থেকে জিনিসপত্র কিনতে বেরিয়েছিলেন তাঁর ছেলে। কিন্তু ফেরার সময়ই তাঁর গাড়িতে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। ছেলেকে পাশে বসিয়েই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে লাইভটি করেন বালির প্রাক্তন বিধায়ক।

তাঁর কথায়, ‘এটা আমার নির্বাচনী এলাকা নয়। আমি বিশেষ কাউকে চিনিও না। হামলাকারীদের মধ্যে এক জন মহিলাও ছিলেন। ছেলেকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। তিনি দেখে দ্রুত পেটের ইউএসজি করতে বলেছেন। ওর গলাতেও আঘাতের চিহ্ন। হামলাকারীদের এক জন জামা দিয়ে ছেলের গলা পেঁচিয়ে ধরেছিল।’ হামলার পরে ঘটনাস্থল থেকেই একটি ফেসবুক লাইভ করেন বৈশালী। সেখানে ‘পার্থ দা’ নামে কাউকে সম্বোধন করে অভিযোগ জানাতে শোনা যায় বৈশালীকে। পরে তিনি জানান, রাজ্যের মন্ত্রী তথা বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফোনে হামলার বিষয়টা জানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যোগাযোগ করতে পারেননি। আতঙ্কের আবহে তিনি মনে করেছিলেন ফোনে পেয়ে গিয়েছেন। তাই কথা বলতে শুরু করেন।

পরে আরও এক বার ফেসবুক লাইভে আসেন বৈশালী। সেই সময় তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘ভোটে লড়েছেন বলেই কি ছেলের উপর এভাবে হামলা করা হল?’ একইসঙ্গে বলেন, ‘দিনের বেলায় একটা বাচ্চা নিরীহ ছেলেকে মারধর করে কী প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছে? এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, দিদি বিষয়টি দয়া করে খতিয়ে দেখুন। রাজ্যে এমন হিংসা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমি সত্যিই লজ্জিত যে, আমি বাংলায় থাকি।’

বৈশালীর দাবি, তিনি নির্বাচনে লড়েছেন বলেই তাঁর ছেলের উপর হামলা করা হয়েছে। যা কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। রাজ্য সরকারের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন, কে বা কারা এমনটা করেছে, তা খতিয়ে দেখা হোক। উল্লেখ্য তৃতীয় দফায় তৃনমূলের জয়ের পরই রাজ্য জুড়ে বিরোধী প্রার্থী, সমর্থকদের ওপর ব্যাপক হামলা ও তাঁদের ঘরবাড়ি লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে সীলমোহর দিয়েছেন রাজ্যপাল স্বয়ং যা নিয়ে রাজয়সরকার বনাম রাজ্যপাল বিরোধ চরমে উঠেছে এবং বিষয়টি গড়িয়েছে দিল্লি অবধি। সোমবারের ঘটনা ফের সেই বিতর্ককে উস্কে দিল।

RELATED ARTICLES

Most Popular