Homeএখন খবরতৃনমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের রোগ বিজেপিতেও, কয়লা মাফিয়া দলে আসছে কেন? প্রশ্ন তুলে...

তৃনমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের রোগ বিজেপিতেও, কয়লা মাফিয়া দলে আসছে কেন? প্রশ্ন তুলে দিলীপের সভার আগেই ধুন্ধুমার দুর্গাপুর

নিজস্ব সংবাদদাতা; দুর্গাপুর: শুধু তৃনমূল থেকে বিজেপিতে লোক আসছেনা সঙ্গে আসছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ভাইরাসও। তৃনমূলের থেকে নেতা কর্মীরা ঝাঁকে ঝাঁকে বিজেপিতে আসায় অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগছেন বিজেপির আদি কর্মী ও ছোটখাটো নেতারা। কী হবে তাঁদের অবস্থান? নতুনরা কী এসে কেড়ে নেবে তাঁদের জায়গা? এমনই এক অনিশ্চয়তা থেকে সোমবার আদি বিজেপির ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা দিল দুর্গাপুরে। আয়ারাম আর গয়ারামদের ঠেকাতে ধুন্দামার কান্ড বেঁধে গেল দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে।

গোষ্ঠীকোন্দলের যে রূপ এতদিন তৃনমূলের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল তা এবার মাথা চাড়া দিচ্ছে বিজেপিতেও। এতদিন শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির এবার তাদেরই দলে গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে এল। দলের রাজ্য সভাপতি মঞ্চে ভাষণ দিতে ওঠার আগেই চলল দু পক্ষের মারপিট। ২৪ ঘন্টা হল দুদিনের বাংলা সফর সেরে দিল্লি ফিরে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারমধ্যেই প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে জেরবার হতে হয়েছে বিজেপিকে। দুর্গাপুরে বিজেপির যোগদান অনুষ্ঠানে একে অপরের দিকে চেয়ার ছোঁড়ার পাশাপাশি চলল হাতাহাতিও।

টাকা নিয়ে একদল কয়লা মাফিয়াকে বিজেপিতে যোগদান করানোর চেষ্টা হচ্ছিল এমনই অভিযোগ করেন বিজেপির কিছু কর্মী সমর্থকরা। এই ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব।সোমবার দুর্গাপুরে যোগদান অনুষ্ঠানে কয়েকজনের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিতেন। কিন্তু তার আগেই নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিজেপির দুই গোষ্ঠী। কয়লা মাফিয়াদের বিজেপিতে যোগদানের ঘটনারই প্রতিবাদ জানান একদল কর্মী সমর্থক।

তারপরই তাদের ওপর হামলা চালায় অপর গোষ্ঠী। করা হয় ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। চলে চেয়ার ছোড়াছুড়ি। কার্যত খণ্ডযুদ্ধে পরিণত হয় সভাস্থল। বিজেপির ওয়ার্ড সভাপতি অমিত যাদবের অভিযোগ, সেই সব কয়লা মাফিয়া, লোহা চোরদের দলে যোগদান করানো হচ্ছে, যারা ২০১৭ সালে পুরনিগম ভোটের সময় তাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল। তারা আজ বিজেপিতে যোগদান করছে। আমরা তাদের যোগদানের বিরোধিতা করছি।

অমিত যাদবের আরও অভিযোগ, দলের নেতারা টাকার বিনিময়ে তাদের দলে নিচ্ছেন। যদিও এই বিষয়ে অপর গোষ্ঠীর তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, জেলা সভাপতি লক্ষন ঘড়ুই ভাংচুরের ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, একটা বচসা হয়েছে। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। ঘটনা হল ১৯তারিখ মেদিনীপুরের সভায় শুভেন্দু অধিকারী সহ একগুচ্ছ তৃনমূল নেতা বিজেপিতে যোগদানের পর অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপির অন্দরে। যাঁদের কে এতদিন তোলাবাজ, কাটমানি খোর, অত্যাচারী বলত বিজেপি তাঁরাই ভিড়ছে বিজেপি শিবিরে। যেমন আসানসোল সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় প্রকাশ্যে জানিয়ে দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে তিনি মানতে পারছেন না। পরে অবশ্য জিতেন্দ্র তৃনমূলেই থেকে যান। সেই রকম ক্ষোভই ক্রমশ প্রকট হচ্ছে বিজেপির অন্দরে।

RELATED ARTICLES

Most Popular