Homeউত্তরবঙ্গআলিপুরদুয়ারসরকারি অনুষ্ঠানকে দলীয় অনুষ্ঠানে পরিণত করার অভিযোগ! হুল দিবসে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন...

সরকারি অনুষ্ঠানকে দলীয় অনুষ্ঠানে পরিণত করার অভিযোগ! হুল দিবসে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন না বিজেপির বিধায়ক ও সাংসদরা

নিউজ ডেস্ক: অব্যাহত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দলতন্ত্রের রাজনীতি! সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই পেলেন না নির্বাচিত জন প্রতিনিধিরা। সংসদীয় রীতিনীতি জলাঞ্জলি দেওয়ার এই উদাহরণ অবশ্য নতুন কিছুই নয়। ২০১১ থেকেই এ জিনিস চলে আসছে। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর কয়েকদিন আগেই সর্বদলীয় বৈঠকে ডাকা হয়নি বিরোধী বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকীকে আর এবার আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের তরফে আয়োজিত হুল দিবস অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেননা জেলার ৫ বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদকে।

এই ঘটনায় সরকারি অনুষ্ঠানটি দলীয় অনুষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করল কুমারগ্ৰামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ কুমার ওরাঁও। বিধায়ক মনোজ কুমার ওরাঁও অভিযোগ করেন আলিপুরদুয়ার জেলার পাঁচজন বিধায়ককে আমন্ত্রণ করেনি তিনি আরো অভিযোগ করেন আলিপুরদুয়ার জেলার দুজন আদিবাসী বিধায়ক আছে মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা এবং কুমারগ্ৰামের আমি মনোজ ওরাঁও আমরা দুজন জেলার মধ‍্যে আদিবাসী বিধায়ক আমাদের দুজনকে এই হুল দিবস সরকারি অনুষ্ঠানে ডাকা হয়নি অথচ হুল দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পত্রে অতিথিদের যে নাম রয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে জেলার সমস্ত তৃণমূল নেতার নাম রয়েছে। একটি সরকারি অনুষ্ঠানকে দলীয় অনুষ্ঠানে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

বিধায়ক মনোজ কুমার ওরাঁও এর অভিযোগ সরকারি অনুষ্ঠান হুল দিবসে আমাদের আমন্ত্রণ না করে শুধু আমাদের অপমান করা হয়নি এখানে পুরো আলিপুরদুয়ার জেলার জনগণকে অপমান করা হয়েছে কেননা আলিপুরদুয়ার জেলার জনগণ আমাদের নির্বাচিত করেছে । এই বিষয়ে মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগ্গা জানান আমরা জেলার আদিবাসী বিধায়ক অথচ কালচিনি এলাকায় আয়োজিত হুল দিবস সরকারি অনুষ্ঠানে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ।

দেখা গেছে এই সরকারি অনুষ্ঠানে দাপট দেখিয়ে গেছেন তৃনমূলের নেতা কর্মীরাই। এই বিষয়ে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী জানান যে বিজেপি বর্তমানে রাজ‍্যে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে। যদিও ঘটনা এটাই যে দক্ষিনবঙ্গে যদি বিজেপি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে থাকে তো উত্তরে অপ্রাসঙ্গিক হয়েছে তৃনমুলই। অলিপুরে তো কোনও আসনেই জিততে পারেনি তৃনমূল। উত্তরবঙ্গের ৪২টি আসনের ২৫টি জিতে নিয়েছে বিজেপি। হেরেছেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, উত্তরবঙ্গের তৃনমূল সর্বাধিনায়ক গৌতম দেব।

শাসকদলের এবং সরকারের এই অসংসদীয় রীতি সমর্থন পেয়েছে স্থানীয় বিডিওর বক্তব্যে। কালচিনি বিডিও প্রশান্ত বর্মণ জানান নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা জনগণের দুয়ারে যায় তেমনি সরকারি অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিদের নিজেই আসা উচিৎ । বিডিও আরো জানান সবার নাম যদি আমন্ত্রণ পত্রে লিখতে হয় তাহলে তো আমন্ত্রণ পত্র অনেক বড় হবে। যদিও সরকারি অনুষ্ঠানে দলীয় নেতাদের নাম কী করে তবে লেখা যায় তার উত্তর অবশ্য মেলেনি।

RELATED ARTICLES

Most Popular