Homeএখন খবরআগুন লাগল শহর বিজেপির ঘরে, 'খড়গপুর হারানোর জমিদার' বলে কটাক্ষ দিলীপ-শমিতকে

আগুন লাগল শহর বিজেপির ঘরে, ‘খড়গপুর হারানোর জমিদার’ বলে কটাক্ষ দিলীপ-শমিতকে

নিজস্ব সংবাদদাতা: দেরিতে হলেও হওয়ারই ছিল, শেষমেশ আগুনটা লেগেই গেল খড়গপুর শহর বিজেপির ঘরে। এ আগুন দমকল নেভাতে পারে কিনা সন্দেহে কারন নেতা থেকে কর্মী আর কর্মী থেকে কট্টর বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে আগুন জ্বলছে ধিকিধিকি করে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রবিবার সকাল থেকেই একের পর ফেসবুক আক্রমন ঝাঁপিয়ে পড়েছে বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শমিত দাসকে কেন্দ্র করে এমন কি বাদ যাননি বিজেপির রাজ্য সম্পাদক তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষও। খড়গপুর শহর বিজেপির অন্যতম মুখ তথা বিজেপির ব্যবসায়িক সেলের নেতা শৈলেশ শুক্লা নিজের ফেসবুক পেজে শমিত দাসকে চুড়ান্ত দুর্নীতিগ্রস্ত (মোস্ট করাপটেড)নেতা বলে অভিহিত করেছেন। জেলা সভাপতির ছবি সহ এই পোষ্ট হতেই একের পর এক মন্তব্য পড়তে শুরু করেছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
শুক্লা একটা নয়, একাধিক পোষ্ট করেছেন যেখানে আক্রমন করতে ছাড়েননি রাজ্য সভাপতিকেও। শনিবারই শহর বিধানসভার সাংসদ প্রতিনিধি হিসাবে আবদুল মঈনকে নিযুক্ত করেছেন দিলীপ ঘোষ। রবিবার নিজের ফেসবুকে সেই চিঠি সহ একটি পোষ্ট করে ব্যঙ্গ করেছেন এই হল দিলীপ ঘোষের আসল চেহারা (রিয়েল ফেস অফ দিলীপ ঘোষ )। শুক্লা তাঁর আরও একটি পোষ্টে শমিত ও দিলীপকে খড়গপুর হারানোর জমিদার বলে কটাক্ষ করেছেন। আসলে মুসলিম ধর্মাবলম্বী কোনও মানুষকে সাংসদ প্রতিনিধি করাতেই সম্ভবত ক্ষোভ ঝরিয়েছেন শুক্লা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
এদিকে শুক্লার পোষ্ট হওয়ার কিছুক্ষনের মধ্যেই প্রতিক্রিয়া আর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সরগরম হয়েছে শুক্লার পেজ। কেউ তাঁকে সমর্থন করে তার সঙ্গে যুক্ত করেছেন নিজস্ব অভিমত। এঁরা বিজেপির কট্টর কর্মী এবং সমর্থক বলেই পরিচিত। কেউ কেউ আবার অবৈধ বালি কারবারিদের সঙ্গে শমিত দাসের যোগ রয়েছে বলে দাবি করেন। অনেকেই আবার শুক্লাকে এই ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট না করার অনুরোধ করেন।
বিষয়টি নিয়ে নিমেষেই চর্চা শুরু হয়ে যায় জেলা এবং শহর বিজেপিতে। দিনভর চাপের মুখে শেষমেশ পোষ্ট গুলি নিজের ওয়াল থেকে তুলে নেন শুক্লা। 

RELATED ARTICLES

Most Popular