Homeএখন খবরখড়গপুর শহরের গা ঘেসেই প্রতিবন্ধি নাবালিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার...

খড়গপুর শহরের গা ঘেসেই প্রতিবন্ধি নাবালিকাকে দলবদ্ধ ধর্ষন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ, উদ্ধার মদের বোতল, গ্লাস

এভাবেই মিলেছিল দেহ 

নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়গপুর শহরের একেবারেই লাগোয়া গ্রামীন খড়গপুরে এক নাবালিকাকে ধর্ষন করার পর মেরে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করল পরিবার। বুধবার সকালে  শহরের বুলবুলচটি পেরিয়ে সামান্য বলরামপুর গ্রামের কাছাকাছি একটি ঝোপ জঙ্গল ভরা এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছে ১৫বছর বয়সী ওই নাবালিকার দেহ। একটি খেজুরগাছের সংগে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায় কিশোরীকে। তাঁর মুখে রক্ত গড়িয়ে পড়ছিল বলে গ্রামবাসিরা দাবি করেছেন। কিশোরীর মা এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি ধর্ষন করার পর খুন করা হয়েছে মেয়েটিকে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করতে পাঠিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কিছু তথ্য পুলিশ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে একটি জলসার আয়োজন করেছিল স্থানীয় একটি ক্লাব। সেই জলসা দেখতে মায়ের সংগে মেয়েটি গিয়েছিল। বাড়ির লাগোয়া মামাবাড়ি থেকে মেয়েটির মামাতো বোন ও ভাইও গিয়েছিল। মেয়েটির মায়ের বয়ান অনুযায়ী ‘রাত ১১টা নাগাদ জলসা শেষ হওয়ার পর মেয়েটি তার মামাতো ভাই বোনের সাথে আরও একটু সময় কাটাতে চাইছিল। আমি মেয়েকে বাড়ি আসতে বলে চলে আসি। অনেক সময় মেয়ে মামাবাড়িতে থেকেও যায়। আমার স্বামী নেই , লোকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করি, তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হয় তাই বাড়ি চলে আসি। রাতে মেয়ে বাড়ি ফেরেনি, ব্যপারটা অস্বাভাবিক মনে হয়নি কারন এমনটা ও আগেও করেছে, মামাবাড়িতে থেকে গেছে। সকালে উঠে যথারীতি কাজে চলে গেছি। প্রথম কাজ সেরে বাপের বাড়িতে গিয়ে আমার মা কে জিজ্ঞাসা করি আমার মেয়ে কোথায়া? মা বলে তোর মেয়ে আসেনি। এরপরই আমার মাথায় বাজ পড়ে। অন্য কোনও বন্ধুর বাড়িতে গেছে কিনা খোঁজ নিতে যাচ্ছিলাম তার মাঝেই খবর পাই মেয়ের গলায় ফাঁস লাগানো দেহ মিলেছে।”
মেযের কাকা বলেন, ”লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা ঝোপ থেকে মেয়ের দেহ মিলেছে। পাওয়া গেছে মদের বোতল, পাঁচটি গ্লাস। মেয়ের সারা শরীরে কাটা ছেঁড়া দাগ, জামা কাপড় বিদ্ধস্ত । আর এতবার তাকে মাটিতে ফেলে ধর্ষন করা হয়েছে যে ডালপালা, শুকনো পাতায় ভরা জায়গাটি পরিস্কার হয়ে গেছে।” 
মেয়ের মামাতো বোনের বক্তব্য , পাঁচজন ছেলে তার দিদিকে চাউমিন খাওয়াচ্ছিল আর খুব হা হা হি হি করছিল। এটা তার ভাল  লাগেনি তাই ভাইকে নিয়ে বাড়ি চলে আসে সে। পরে দিদির খোঁজ নেয়নি কারন তাঁর ধারনা ছিল দিদি বাড়ি চলে যাবে এক সময়। এই নাবালিকার বক্তব্য হল ওই পাঁচজনের একজন লম্বা ও কালো রঙের যুবক খুব বাড়াবাড়ি করছিল, তার ইংগিত ভাল ছিলনা।
গ্রামের লোকেদের ধারনা জলসার কাছে মজা করার পর ফের মেয়েটিকে খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে আড়ালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ছেলেরা মদ খায় এবং তারপর একের পর এক দলবদ্ধ ধর্ষন করে খুন করার পর সুইসাইডের গল্প সাজাতে ফাঁস দেওয়া হয়। কারন ফাঁসি দেওয়ার মত পর্যাপ্ত দূরত্ব ছিলনা গাছের দড়ি ও মাটির মধ্যে। উল্লেখ্য মেয়েটি পোলিও জনিত প্রতিবন্ধি ছিল ।
পুলিশ অবশ্য ধর্ষন তত্ব এখুনি মানতে নারাজ। তাঁদের মতে কোনো অপমান বা অভিমান থেকে আত্মহত্যা করতে পারে। ধর্ষনের তেমন নমুনা এখনও মেলেনি। মেয়েটি যেভাবে পায়খানা ও পেচ্ছাপ করে দিয়েছে তাতে আত্মহত্যাই মনে হয় ।  পুলিশ অপেক্ষা করছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার জন্য। লগাতার বিভিন্ন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

RELATED ARTICLES

Most Popular