Homeএখন খবরখড়গপুরের নিঃস্ব দুঃস্থ বয়স্ক নাগরিক এবং পথবাসীদের সহায়তায় হেল্প-আ্যপ চালু করল বর্ন-টু-হেল্প

খড়গপুরের নিঃস্ব দুঃস্থ বয়স্ক নাগরিক এবং পথবাসীদের সহায়তায় হেল্প-আ্যপ চালু করল বর্ন-টু-হেল্প

Mr. Barun Pal, Chief of this organization Born 2 Help, said, 'Modern life is bringing a new kind of problem in our society. People have money, there is a roof over their heads but there is no one beside the old citizens. Boys and girls live in exile or separately for the sake of their profession. He can ask us for help in various problems ranging from the ailments of such elderly citizens. Send us a message from this app. This facility is available 24x7 days at no cost. Also, if any people are starving at the roadside, if there is a need for treatment, anyone can inform us through this app. We will help him get the food he needs. "

নিজস্ব সংবাদদাতা: খড়গপুরের জন্য নতুন উদ্যোগ নিল বর্ন-টু-হেল্প। রবিবার,৭ই জানুয়ারি বিশ্ব ক্যানসার দিবসে খড়গপুর শহরে দক্ষিণবঙ্গের বৃহত্তম পদযাত্রা ‘ওয়াকথন’ ৪র্থ বছরে এমনই উদ্যোগ নিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বর্ন-টু-হেল্প। সহায় সম্বল হীন বয়স্ক নাগরিক, পথবাসী অসুস্থ নিরন্ন মানুষ যদি বিপদে পড়েন তাহলে এই আ্যপ থেকে যোগাযোগ করলে তাঁকে সাহায্যের জন্য পৌঁছে যাবে ‘বর্ন-টু-হেল্প’য়ের সদস্যরা। যে কোনও ধরনের সাহায্য করা হবে আর্ত জনকে।

সংগঠনের অন্যতম কর্ণধার বরুণ পাল জানালেন, ‘ আধুনিক জীবন যাত্রা এক ধরনের নতুন সমস্যা নিয়ে আসছে আমাদের সমাজে। মানুষের টাকা আছে, মাথার ওপর ছাদ আছে কিন্তু বৃদ্ধ নাগরিকদের পাশে কেউ নেই। পেশার তাগিদে ছেলে মেয়েরা প্রবাসে কিংবা আলাদা থাকেন। এই ধরনের বয়স্ক নাগরিকদের অসুখ-বিসুখ থেকে নানা রকম সমস্যায় তিনি আমাদের সাহায্য চাইতে পারেন। এই আ্যপ থেকে আমাদের একটি বার্তা পাঠিয়ে দিন। ২৪x৭ দিনই এই সুবিধা পাওয়া যাবে কোনও খরচা ছাড়াই। এছাড়া রাস্তা ঘাটে যদি কোনোও মানুষ অভুক্ত থাকেন, যদি চিকিৎসার প্রয়োজন হয় যে কেউ আমাদের খবর দিতে পারেন এই আ্যপ মারফৎ। আমরা তাঁকে তাঁর প্রয়োজনীয় খাদ্য চিকিৎসা ইত্যাদি সহায়তা দেব।”

বরুণ আরও জানিয়েছেন, ‘আমি খড়গপুর বাসীর প্রত্যেক নাগরিককে আবেদন করব আ্যপটি আপনারা ডাউনলোড করে নিন। হয়ত আপনার প্রয়োজন নেই কিন্তু আপনার প্রতিবেশী বয়স্ক একা একা থাকা মানুষটির প্রয়োজন আছে। কিংবা রাস্তায় যেতে যেতে কোথাও আপনি দেখলেন অসুস্থ, নিরন্ন কোনোও পথবাসী পড়ে রয়েছেন কেউ। আপনি এই আ্যপ মারফৎ আমাদের কাছে সেই খবরটি পৌঁছে দিতে পারেন। অর্থাৎ এই আ্যপটি মারফৎ আপনি নিজেও একটি মহান সেবার অংশ হতে পারেন।”

রবিবার খড়গপুর সেরসা স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়েছিল এ মরশুমের ‘ওয়াকথন।’ কচিকাঁচা থেকে শুরু করে যুবক-যুবতী, প্রৌঢ়-প্রৌঢ়ার দল হেঁটেছেন প্রায় আড়াই কিলোমিটার। ওয়াকথনে অংশ নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন বাবদ কয়েকশ অংশগ্রহণকারীরা যে ১০০টাকা করে দিয়েছেন তা তুলে দেওয়া হয়েছে ক্যানসার আক্রান্তদের চিকিৎসার সহায়তার জন্য। এদিন এরকমই ৯টি পরিবারের হাতে আর্থিক ড্রাফ্ট তুলে দেওয়া হয়।

গত ৪বছরে এই ভাবে প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষকে সাহায্য করা হয়েছে। এদিন খড়গপুর শহরের বিভিন্ন স্কুলের পড়ুয়ারা সেরসা স্টেডিয়ামেই ক্যানসার সচেতনতা নিয়ে মডেল নিয়ে হাজির করেছিলেন দর্শকদের জন্য। বর্ন-টু-হেল্প পরিচালিত স্কুলের পড়ুয়ারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। খড়গপুর ছাড়াও কলকাতা, জামসেদপুর এবং ব্যাঙ্গালুরুতে কাজ করছে এই সংস্থা। ক্যানসার ছাড়াও দুঃস্থ পড়ুয়াদের জন্য স্কুল, চিকিৎসা, ওষুধ প্রদান করে এরা। সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ডঃ সৈকত সিট, ডঃ পৃথা, ডঃ বন্দনা, ডঃ ইন্দ্রানী, ডঃ দ্বিপায়ন বিশালের মত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

RELATED ARTICLES

Most Popular