Homeএখন খবরনৃশংস হত্যা! পুরুলিয়ায় এক আদিবাসী দম্পতির গলা কাটা দেহ উদ্ধার, উধাও মুণ্ডু

নৃশংস হত্যা! পুরুলিয়ায় এক আদিবাসী দম্পতির গলা কাটা দেহ উদ্ধার, উধাও মুণ্ডু

ওয়েব ডেস্ক : পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড় সংলগ্ন ছোট্ট একটি গ্রাম তানাসি গ্রাম। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা এক আদিবাসী দম্পতি বছর ৬৫র পাতাই মাঝি এবং বছর ৫৫র লেকাশি মাঝি। তাদের তিন ছেলে। তার মধ্যে দুজনই মারা গিয়েছেন। ছোটো ছেলে পাশের গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। ফলে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই থাকেন বাড়িতে৷ সাধারণত প্রতিদিন ভোরেই তারা ঘুম থেকে উঠে পড়েন। কিন্তু শুক্রবার সকালে বেলা বাড়লেও ওই দম্পতিকে ঘরের বাইরে বেরোতে না দেখায় প্রতিবেশীরা বেশ খানিক্ষণ তাদের ডাকাডাকি করলেও কোনো সারা শব্দ মেলে না। এরপরই সন্দেহের বশে প্রতিবেশীরা আরশা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে যা দেখল তা স্বাভাবিকভাবেই হাড় হিম করা ঘটনা। ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে দুটি মুণ্ডুহীন দেহ। কিন্তু মাথা উধাও। এই নৃশংস ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই গোটা গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।কিন্তু একেই প্রত্যন্ত গ্রামে তার ওপর একেবারেই হত দরিদ্র পরিবার। ফলে এও দম্পতিকে কে বা কারা খুন করলো? খুনের কারণই বা কি হতে পারে তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত আরশা থানার পুলিশ।

এদিকে মা-বাবা খুন হওয়ার খবর শুনে রীতিমতো হতভম্ব ছোটো ছেলে। খবর পাওয়া মাত্রই পাশের গাম থেকে ছুটে এসেছে মাঝি দম্পতির ছোটো ছেলে। গরীব বাব-মাকে কেন কেউ খুন করলো তা ভেবে কুল করতে পারছে না ছোটো ছেলে। ছোট ছেলের বয়ান অনুযায়ী আপাতত তাদের কোনো শত্রু না থাকলেও অনেক বছর আগে তাদের জীবনে বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেই ঘটনার সাথে তার বাবা মায়ের খুনের কোনো সম্পর্ক আছে কিনা তা সে না বুঝলেও পুলিশ কিন্তু এই খুনের নেপথ্যে অতীতের দুই ঘটনাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। এবিষয়ে দম্পতির ছোট ছেলে মুকুন্দ মাঝি জানিয়েছে, “আমরা যখন ছোট ছিলাম সেই সময় আমার মাকে ডাইন-জুগিন বলত প্রতিবেশীরা। এই নিয়ে ঝামেলাও হয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে। নিজেদের চাষের গরু বিক্রি করে জরিমানা দিতে হয়েছিল আমার বাবা-মাকে। আবার কিছু দিন আগে জমি সংক্রান্ত বিবাদ হয়েছিল গ্রামবাসীদের সঙ্গে।“ তবে কি পুরনো বিবাদের জেরেই খুন হতে হল ওই আদিবাসী দম্পতিকে? এই ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই ভাবাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

তবে এই নৃশংস খুনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই গ্রামবাসীরাও হতবাক। বৃহস্পতিবারও তাদের সাথে গ্রামবাসীদের কথা হয়, সে সময়ও সব স্বাভাবিকই ছিল। তবে রাতে কি এমন ঘটলো যে তাদের এভাবে মুণ্ডচ্ছেদ করতে হল? তা কিছুতেই ভেবে পাচ্ছে না গ্রামবাসীরা। তবে কেন খুন হলো, কিভাবে খুন হল সে সব নিয়ে না ভেবে আপাতত পুলিশ প্রথমে নিহত দম্পতির উধাও মুণ্ডুর খোঁজ চালাচ্ছে। তবে কে কেন খুন করেছে কাটা মুণ্ডু দুটিই বা কোথায় গেল তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

RELATED ARTICLES

Most Popular