Homeএখন খবরমেদিনীপুর শহরে ভেঙে পড়ল শতাব্দী প্রাচীন সরকারি ভবন, অন্ততঃ ২জনের চাপা পড়ে...

মেদিনীপুর শহরে ভেঙে পড়ল শতাব্দী প্রাচীন সরকারি ভবন, অন্ততঃ ২জনের চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভয়াবহ দুর্ঘটনা মেদিনীপুর শহরে। কেরানিটোলার কাছেই ব্রিটিশ আমলের একটি বিশালাকার ভবন ভেঙে পড়ায় অন্ততঃ ২জন শ্রমিকের ভেতরে চাপা পড়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁদের ভগ্নস্তূপ থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ধ্বংসস্তুপ থেকে আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় পদস্থ কর্তারা রয়েছেন।

কয়েক মাস আগে পর্যন্ত এই বৃটিশ আমলের এই সাবেক ভবনটিতেই চলত জেলার ভূমি ও ভূমি রাজস্ব সংক্রান্ত দপ্তর। সম্প্রতি সেই দপ্তর স্থানান্তরিত করা হয়েছে পাশেই গড়ে তোলা নতুন ভবনে। পরবর্তী প্রক্রিয়া হিসাবে গত কয়েকদিন ধরেই ওই পুরানো কার্যালয় থেকে জিনিসপত্র সরানো ও ভাঙার কাজ চলছিল। মঙ্গলবার দুপুরে অঝোর ধারায় বৃষ্টি হচ্ছিল। সেইসময় ওই অফিসের মধ্যে কাজ করছিলেন জনা ২৫ শ্রমিক। হঠাৎ বিকট শব্দে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে হাজার বর্গ ফুটের বাড়ির ছাদ ও দেওয়াল। ছুটে পালানোর চেষ্টা করে কর্মরত শ্রমিকরা। একদম ভেতরের দিকে থাকা চারজন শ্রমিকের ২জন বেরিয়ে আসতে পারলেও বাকি ২জন আটকে রয়ে যায় ভেতরে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন পুরানো ভবনের কড়ি বর্গা দেওয়া ইট সুরকির পেটাই করা বিশালাকার ছাদের পুরো চাঙড়টাই মাঝখানে ধ্বসে পড়েছে হুড়মুড়িয়ে আর তার অভিঘাতে ভেঙে পড়েছে চারপাশের দেওয়ালের অংশ। ফলে ভেতরে ঢোকার রাস্তা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।
জরাজীর্ণ ভগ্নপ্রায় বাড়ির ভেতরে ঢুকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। চারটি জেসিবি পেলোডার দিয়ে দিয়ে বাড়ি ভেঙে ঢোকার চেষ্টা চলছে। ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকল ও পুলিশের বিশাল বাহিনী। যে ২ জনকে পালাতে পেরেছিলেন তাঁরাও কমবেশি আহত হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান দমকলের কর্মীরা।

জানা গিয়েছে, আউশাবাঁধি গ্রাম থেকে ২৫ জন কাজ করছিলেন। এক শ্রমিক জানিয়েছেন, আজ দুপুরে কাজের সময় বৃষ্টির মধ্যে হঠাৎ ভেঙে পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
কর্মরত এক শ্রমিক জানিয়েছেন, ‘বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে কাজ করছিলাম আমরা। হুড়মুড় আওয়াজ পেতেই সবাই বেরিয়ে আসতে পারলেও ভেতরের দিকে থাকা ৪ জন চাপা পড়ে যায়। তাঁদের মধ্যে দু’জন উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি দু’জন চাপা পড়ে আছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিনা। ভগবান জানে তাঁরা বেঁচে আছেন কিনা! ’

RELATED ARTICLES

Most Popular