Homeএখন খবরবেসরকারি স্কুলের ফি-তে ২০% ছাড়ের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, আদালতের রায়ে অখুশি অভিভাবকরা

বেসরকারি স্কুলের ফি-তে ২০% ছাড়ের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের, আদালতের রায়ে অখুশি অভিভাবকরা

ওয়েব ডেস্ক : করোনা পরিস্থিতিতে বেসরকারি স্কুলগুলির ফি মেটাতে হিমসিম খাচ্ছে অভিভাবকেরা। লকডাউনে যে সমস্ত পরিষেবা মিলছে না, সেগুলিতেও নেওয়া হচ্ছে বেতন। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন স্কুলের সামনে একাধিকবার বিক্ষোভ দেখিয়েছেন অভিভাবকেরা। অভিভাবকদের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এতদিন পর শেষমেশ এই মামলার রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। ওই জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যের মঙ্গলবার বিচারপতি সঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বেসরকারি স্কুলগুলির টিউশন ফি–তে ২০% ছাড় দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি এদিন হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়, যেহেতু এই মূহুর্তে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি চলছে। সেকথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সাথে এদিন হাইকোর্টের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, যেহেতু মার্চ মাস থেকে দেশে করোনা পরিস্থিতি শুরু হয়ে গিয়েছে, সেহেতু ১ এপ্রিল ২০২০ থেকে যে শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে সেই শিক্ষাবর্ষে কোনও রকম নন অ্যাকাডেমিক ফি নেওয়া যাবে না।

তবে এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি হাইকোর্টের তরফে এদিন আরও একটি বড় নির্দেশিকা জারি করা হয়। এদিন রাজ্যের শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছে, যতদিন না করোনা পরিস্থিতি পুরোপুরি শেষ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত বেসরকারি স্কুলগুলি কোনোভাবেই তাদের শিক্ষক–শিক্ষিকা, কর্মচারীদের কোনওরকমভাবে বেতন বৃদ্ধি করতে পারবে না। তবে হাইকোর্টের এই নির্দেশিকা সব স্কুলের জন্য নয়। কলকাতা শ আশেপাশে মোট ১১২টি বেসরকারি স্কুল রয়েছে। এছাড়া কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় যেসমস্ত বেসরকারি স্কুলগুলি কোনোরকম সরকারি সাহায্য পায় না, এদিন মূলতঃ তাদের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে বলে হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই কলকাতার প্রায় সমস্ত নামীদামি বেসরকারি স্কুল রয়েছে।

তবে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের তরিফে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে এই রায় দেওয়া হলেও আদালতের এই নির্দেশে আদতে একেবারেই খুশি নন অভিভাবকরা। মঙ্গলবার আদালতের রায় ঘোষণার পর অভিভাবক সংগঠনের নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “‌আদালতের এই রায়ে অভিভাবকরা সুবিচার পেলেন না। কারণ, আমরা আদালতে জানিয়েছিলাম, যে সব পরিষেবা আমরা স্কুলের তরফে পাচ্ছি না তার জন্য কোনওরকম ফি আমরা দিতে চাই না। আমরা স্কুলের বাস ব্যবহার করছি না অথচ তার খরচ আমাদের কেন দিতে হবে?‌ স্কুল বন্ধ অথচ বিদ্যুতের খরচ, ল্যাবরেটরির খরচ দিতে বলা হচ্ছে। আমরা এখনও আদালতের নির্দেশ হাতে পাইনি। যদি আমাদের দাবি ঠিকঠাকভাবে না মানা হয় তবে এর পরও তীব্র আন্দোলন শুরু হবে।”

RELATED ARTICLES

Most Popular