Homeএখন খবরবাতিল হয়ে গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরর পরীক্ষাও, আগের পরীক্ষার ভিত্তিতেই ফল প্রকাশ জুলাইতে

বাতিল হয়ে গেল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েরর পরীক্ষাও, আগের পরীক্ষার ভিত্তিতেই ফল প্রকাশ জুলাইতে

নিজস্ব সংবাদদাতা: বর্তমান সেমিস্টারের পরীক্ষা বাতিল করে দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। পরীক্ষা ছাড়াই শুরু হয়ে যাবে আগামী সেমিস্টার। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়ে দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চমাধ্যমিকের পর কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় পরীক্ষা বাতিলের প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েই করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নিয়ামক কমিটি সিন্ডিকেট অনলাইন বা ভার্চুয়াল বৈঠক বসে। তার পরেই উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের এনে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। পূর্ববর্তী নম্বরের ভিত্তিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের ফল প্রকাশ করা হবে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সবার ফল প্রকাশিত হবে।”

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘোষনার পর রাজ্যের অগণিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়ুয়া উদ্বেগে। কীসের ভিত্তিতে তাঁদের ফলপ্রকাশ হবে তা নিয়ে কৌতূহল তুঙ্গে। রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপারিশ পাঠিয়েছে উচ্চশিক্ষা দপ্তর। যাতে ফলপ্রকাশের পদ্ধতি বলা হয়েছে। সুপারিশে বলা হয়েছে, স্নাতক স্তরের পরীক্ষার্থীদের ফাইনাল সেমিস্টারের নম্বর ঠিক করা হবে দুই পর্যায়ে। আগের ৫ টি সেমিস্টারের নম্বরের ভিত্তিতে শেষ সেমিস্টারের ৮০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে। বাকি ২০ শতাংশ নম্বর দেওয়া হবে ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতে।

স্নাতকোত্তর পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও একই রীতি। কোনও পড়ুয়া যদি নিজের প্রাপ্ত নম্বরে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে তিনি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই তাঁর পরীক্ষা নেওয়া হবে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সরকারের সুপারিশ মেনে নিয়েছে। বৈঠক শেষে সিন্ডিকেটের সদস্যরা জানিয়েছেন, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বর্ষের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

উল্লেখ্য, এর আগেই এই পথে হেঁটেছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির একাংশ। এমনকি আইআইটির মত প্রতিষ্ঠান গুলি পরীক্ষা ছাড়াই শেষ করে দিয়েছে বসন্তকালীন সেমিস্টার। তাছাড়া বিকল্প কিছু দেখা যাচ্ছেনা। অফিস, ধর্মস্থান-সহ একাধিক ক্ষেত্র খুললেও এখনও পর্যন্ত খোলেনি কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তার ফলে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় সবই বন্ধ রয়েছে। করোনা আবহের আগে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গিয়েছিল। যদিও পরীক্ষা ফলপ্রকাশ কবে হবে, তা নিয়ে দোলাচল রয়েছে। তবে উচ্চমাধ্যমিকের তিনটি পরীক্ষা বাকি ছিল। সেই তিনটি পরীক্ষা নেওয়ার জন্য দিন চূড়ান্তও করা হয়েছিল। যদিও পরে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্থগিত হয়ে যাওয়া তিনটি পরীক্ষাই বাতিল করে দেওয়া হয়। হয়ে যাওয়া পরীক্ষাগুলির মধ্যে যেটিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে, তার ভিত্তিতেই পড়ুয়াকে বাকি তিনটি পরীক্ষা নম্বর দেওয়া হবে। এবার করোনার কোপে বাতিল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় পরীক্ষাও। আশা করা যাচ্ছে রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলিও এবার এই পথেই হাঁটবে।

RELATED ARTICLES

Most Popular