Homeএখন খবরমধ্যরাতে ঝাড়গ্রামের গভীর জঙ্গলে ক্যাম্প ফায়ার, ৫০ পর্যটককে ফেরৎ পাঠাল পুলিশ

মধ্যরাতে ঝাড়গ্রামের গভীর জঙ্গলে ক্যাম্প ফায়ার, ৫০ পর্যটককে ফেরৎ পাঠাল পুলিশ

নিজস্ব সংবাদদাতা: রাতে তো দুরের কথা দিনের বেলাতেই মানুষ ওই জঙ্গলে যেতে ভয় পান। একদা মাওবাদী অধূষ্যিত ঝাড়গ্রামে গভীর জঙ্গল ছিল মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি। মুড়ি মুড়কির মত লাশ দেখেছে আশে পাশের গ্রাম।  বর্তমানে আবাসিক হাতির আখড়া। প্রায়শই হাতির আক্রমন ঘটে সংলগ্ন গ্রাম গুলি। এ হেন জঙ্গলেই মধ্যরাতে ক্যাম্প ফায়ারের আয়োজন করেছিল একটি সংস্থা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রীতিমত গোপন বিজ্ঞাপন দিয়ে কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকার নারী পুরুষকে বেছে নেওয়া হয়েছিল এই সুপ্ত অ্যাডভেঞ্চারের জন্য। বিনিময়ে মোটা টাকাও গুনে নেওয়া হয়েছিল।   স্থানীয় সুত্রে খবর পেয়ে রাত বারোটায় ৫০ জন নারী, পুরুষ কে এক রকম জোর করে তুলে অানলো পুলিশ। রাতে একটি লজে রাখার পর কার্যত ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঝাড়গ্রাম ছাড়া করা হল তাঁদের।

গভীর  জঙ্গল ঘেরা  ঝাড়গ্রাম ব্লকের সবচেয়ে ডেঞ্জারাস জায়গা। একসময় ছিলো মাওবাদী দের স্বর্গ রাজ্য এখন হাতি দের। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে শনিবার রাতে  ঝাড়গ্রামের ঘৃতখামের জঙ্গলের মধ্যে রীতিমত  জেনারেটার চালিয়ে, মিউজিক সিস্টেম বাজিয়ে হুল্লোড়ে মেতেছিল । টেন্ট ও খাটানো হয়েছিলো রাত কাটানোর জন্য। ছিল রাতের মজলিসের জন্য সুরম্য শয্যার ব্যবস্থা। এলাহি খানা পিনা আর ক্যাম্পফায়ারের ব্যবস্থাও।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
আর এই গোটা বিষয়টি করা হয়েছিল পুলিশ এবং প্রশাসনের চোখের আড়ালেই।
কিন্তু বন্যজন্তুর ডেরায় যে এভাবে হুল্লোর নিষিদ্ধ তার হুঁশ ছিলনা কারোই। পুলিশ জানিয়েছে, মধ্যরাতে জেনারেটরের আলো জ্বলতে দেখে এবং হৈ হুল্লোড়ের শব্দে রীতিমত চমকে ওঠে স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসী। তাঁদের মারফৎই খবর যায় পুলিশ এবং বনদপ্তরের কাছে। এরপরই বিশাল প্রস্তুতি নিয়ে জঙ্গলে প্রবেশ করে পুলিশ এবং ঢুকেই চমকে যায়, নাচাগানায় ব্যস্ত জোড়ায় জোড়ায় মত্ত যৌবন।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
রাত ১২ টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে সবাই কে একরকম অাটক  করে শহরের একটি লজে এনে রাখে। তবে ৫০ নারি, পুরুষ কোনো ঐ গভির অরন্য বেছে নিলো তা খতিয়ে দেখা হবে। শুধুই কি অ্যাডভেঞ্চার?  যদি শুধু তাই হয় তবে কার পরামর্শে এই জায়গা নির্বাচন? জঙ্গলে এ ভাবে লাইট জ্বালিয়ে টেন্ট খাটিয়ে থাকতে হলে ফরেষ্ট ও স্থানীয় প্রশাসনের পারমিশন নিতে হয়। তার কোনোটাই এরা করেন নি। তাদের বক্তব্য স্থানীয় কিছু মানুষের সাহাজ্য  নিয়েই এই রাতে এই মৌজ মস্তির আয়োজন ও রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
একটি বিশেষ সুত্রে জানা গেছে, একটি সংস্থা খুবই গোপনে সদস্য ও সদস্যা সংগ্রহ করা হয়েছিল এই জঙ্গল যাপনের জন্য। এখানে যোগদানের শর্ত ছিল নিজস্ব সঙ্গী বা সঙ্গিনী সহ আসতে হবে। কোনও ভাবেই একক ভাবে কেউ এই ক্যাম্প ফায়ারে যোগ দিতে পারবেনা। যারা এই ব্যবস্থা নিয়েছিল তাঁদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রান আইন সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা দায়ের করতে পারে পুলিশ। 

RELATED ARTICLES

Most Popular