Homeএখন খবর"আমার মাথায় দলবদলের ভাবনা এসেছে", সিঙ্গুরে 'বিদ্রোহী' সুর বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের

“আমার মাথায় দলবদলের ভাবনা এসেছে”, সিঙ্গুরে ‘বিদ্রোহী’ সুর বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের

ওয়েব ডেস্ক : তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার দুই কান্ডারি সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম আন্দোলন। সেই দুই জায়গাতেই এখন বিদ্রোহের হাওয়া বইছে। একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ছাড়াই নন্দীগ্রামে সভা করছেন শাসকদলের একেবারে প্রথম সারির নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, অন্যদিকে, ব্লক সভাপতি নির্বাচন নিয়ে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন সিঙ্গুরের বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। এমনকি রবীন্দ্রনাথবাবু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যাঁকে সিঙ্গুরের ব্লক সভাপতির পদ দেওয়া হয়েছে তাঁকে যদি বদল না করা হয় তিনি কোনোমতেই আর তৃণমূলে থাকবেন না। সেক্ষেত্রে তিনি অন্য দলে যাওয়ার কথা ভাববেন।

সিঙ্গুরে রবীনাথ ভট্টাচার্য বনাম বেচারামের দ্বন্দ্ব নতুন নয়। এবার ফের সেই আগুনেই ন ঘি পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। রবিবার হুগলি তৃণমূলের জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। তাতে দেখা যায়, রবীন্দ্রনাথ ঘনিষ্ঠ সিঙ্গুরের ব্লক সভাপতি মহাদেব দাসকে সরিয়ে তার পরিবর্তে হরিপালের তৃণমূল বিধায়ক বেচারাম মান্নার ঘনিষ্ঠ গোবিন্দ ধাড়াকে বসানো হয়। আর এতেই চটেছেন সিঙ্গুরের প্রবীণ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। এবিষয়ে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয় তাঁদের বাদ দেওয়া হবে আর যাঁরা দুর্নীতি করেছেন তাঁদের নেতৃত্বে আনা হবে, এ জিনিস মেনে নেওয়া যায় না।”

এদিনও দলবদলের হুঁশিয়ারি দিয়ে সিঙুর আন্দোলনের একেবারে প্রথম সারির এই নেতা বলেন, ” আমার মাথায় দলবদলের ভাবনা এসেছে। দলবদল করার প্রস্তাব রয়েছে। আমি এখন তা পাত্তা দিচ্ছি না। কিন্তু যদি প্রতিকার না হয় তাহলে আমাকে রাজনীতির আসরে থাকতে গেলে চিন্তা করতে হবে দলবদল করব কি না।” পাশাপাশি এদিন রবীন্দ্রনাথবাবু শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে বলেন, “কোন কারণে মহাদেব দাসকে এই পদ থেকে অপসারণ করা হল। সে সততার সঙ্গে কাজ করছিল বলে বাকিদের সমস্যা হচ্ছিল?”

এদিকে আচমকা সিঙ্গুরের পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের মুখে বিদ্রোহী সুর শুনে বেশ খানিকটা অবাকই হয়েছেন দলীয় নেতৃত্ব। এবিষয়ে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ব রবীন্দ্রনাথবাবু একে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, অন্যদিকে, পোড় খাওয়া রাজনীতিক। ফলে বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর টিকিট পাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও তাঁর বয়সের কারণে দল যে তাঁকে টিকিট নাও দিতে পারে সে কথা আগে থেকেই আন্দাজ করতে পেরেছেন তিনি। সেকারণেই আবহাওয়া বুঝে এমন মন্তব্য করেছেন সিঙ্গুর বিধায়ক। তবে এবিষয়ে অবশ্য জেলা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা অন্য কথা বলছেন। তাদের দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে বার্তা দিতেই হয়তো অন্য দলে যাওয়ার কথা সকলের সামনে আনলেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।

এবিষয়ে তৃণমূলের তরফে ইতিমধ্যেই বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, “রবীন্দ্রনাথবাবু একা সৎ, বাকি সবাই অসৎ, এটা ভাবা ঠিক নয়। দলে অনেকে রয়েছেন। সিঙুর আন্দোলনে বেচারাম মান্নারও অবদান রয়েছে। নতুন ব্লক কমিটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমোদন করেছেন। রদবদল করতে হলে তাঁর অনুমতি প্রয়োজন।”

RELATED ARTICLES

Most Popular