Homeএখন খবরখড়গপুরে মূখ্যমন্ত্রী, পিংলায় গ্রাম পঞ্চয়েরতের অফিস ঘিরে বিক্ষোভ, বিক্ষোভ ডেবরা, দাসপুরের নাড়াজোলে

খড়গপুরে মূখ্যমন্ত্রী, পিংলায় গ্রাম পঞ্চয়েরতের অফিস ঘিরে বিক্ষোভ, বিক্ষোভ ডেবরা, দাসপুরের নাড়াজোলে

নিজস্ব সংবাদদাতা: মঙ্গলবার খড়্গপুর শহর শিল্প তালুকে মূখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার দিনই পশ্চিম মেদিনীপুরের তিন তিনটি জায়গায় সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ দেখল স্থানীয় প্রশাসন। এক জায়গায় তো রীতিমত গ্রাম পঞ্চায়েতের দপ্তর ঘিরে বিক্ষোভ দেখালো স্থানীয় মানুষজন যার মধ্যে সামিল হলেন পরিযায়ী শ্রমিকরাও।

এদিন সব চেয়ে বড় বিক্ষোভ দেখেছে পিংলার কুসুমদা গ্রাম। পিংলার একমাত্র বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্যর গ্রাম কুসুমদা। সেই গ্রামে ১০০দিনের কাজ শুরু হয়েছিল সবে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ সেই কাটেমানি দাবি করে কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি চিত্ত রানা। তৃণমূলের ওই নেতার কথায় স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান মামনি পাত্র কাজ বন্ধ করে দেন। মাস্টার রোলে কারসাজি করে লুঠার চেষ্টার অভিযোগে পিংলা ব্লকের এক মাত্র এই কুসুমদা বুথে সিপিআইএম এর পঞ্চায়েত সদস্য দোলন সিংয়ের নেতৃত্বে কর্মরত শ্রমিকদের নিয়েই কোদাল জুড়ি সহ পঞ্চায়েত দপ্তর ঘেরাও করেন। তুমুল বিক্ষোভের জেরে ব্লক প্রসাশনের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত বুধবার থেকে পুনরায় কাজ সহ সেই কাজের মাস্টাররোল তুলে দিতে বাধ্য হন প্রধান। একই ভাবে ডেবরা ব্লকের ডুঁয়া গ্রামপঞ্চায়েত পরিযায়ীদের জবকার্ড করে দেওয়ার জন্য ২০০ থেকে ৫০০ টাকা কাটমানি নেওয়ার প্রতিবাদ সহ সেই কার্ড বা কাজ না দেওয়ার দাবীতে বিক্ষোভ সহ ঘেরাও কর্মসূচি হয়। ডেবরার ডু্ঁয়া গ্রামপঞ্চায়েত দপ্তরে জবকার্ড সহ কাজ দেওয়ার নাম করে তৃণমূল ও তার প্রধান পরিযায়ীদের কাছ থেকে ২০০-৫০০ টাকা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নারায়ন সাহু, খোকন মানা, মধু জানা এমন জনা ৩৫ জনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার তালিকা তৈরী হয়েছে। এমন দের কাজ বা জব কার্ড এখনো পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। প্রতিবাদ ও প্রতিকার চেয়ে বিক্ষোভ ঘেরাও হয় ডুঁয়া পঞ্চায়েত দপ্তর। এদিনই দাসপুরের নিচ নাড়াজোল গ্রামপঞ্চায়েত দপ্তরের সামনে এদিন বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন শংকরী দাস, সুমিত্রা দোলাইয়ের মত বয়স্ক বিধাবারা। তাঁরা দাবি করেছেন তাঁদের স্বামীরা বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করে তা চোখে না দেখেই মারা গেছেন। আর এরাও বয়স্ক ও বিধাবা ভাতার জন্য গত আট নয় বছর আগে জমা দেওয়া কাগজ সহ দরখাস্তর প্রতিকপি দেখিয়ে বলেন তাদের কোনো ভাতাই দেওয়া হয়নি। গরীব বিপিএল, ভগ্ন কুঁড়ে ঘরে, বন্যা এলাকার তিন চার কাঠা জলাভূমির খাস পাট্টা জমিতে বছরে একবার চাষ হয়, তাতেই সংসার চলে না।

এই বয়সে কাজ করার সামর্থ্যও নেই। প্রায় ৫০ জন বৃদ্ধ বৃদ্ধা তাদের ভাতা চালুর দাবী নিয়ে পঞ্চায়েত দপ্তরে সামিল হয়েছিলেন। খড়গপুরের প্রশাসনিক সভায় মূখ্যমন্ত্রী যখন রাজ্যের উন্নয়ন নিয়ে একাধিক প্রকল্পের ব্যাখ্যা দিচ্ছেন তখন জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই বিক্ষোভ, এই দাবি প্রশ্ন তুলেছে মূখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত উন্নয়ন আদৌ পৌঁছাচ্ছে কি সাধারন মানুষের কাছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular