Homeএখন খবর‘কো মর্বিডিটি’ মৃত্যুর কলাম উধাও, এক ধাক্কায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল...

‘কো মর্বিডিটি’ মৃত্যুর কলাম উধাও, এক ধাক্কায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৪০৫

ওয়েবডেস্ক: করোনা সংক্রান্ত ডেথ অডিট কমিটি হাপিস হয়ে গেছিল অনেকদিনই এবার রাজ্যের করোনা সংক্রান্ত বুলেটিন থেকে উধাও হয়ে গেল কোমর্বিডিটির অঙ্কটা। সোমবার রাতে রাজ্য সরকার যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে কোমর্বিডিটির ঘরটাই নেই। এদিন রাতের বুলেটিনে বলা হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯ জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৪০৫ জনের কোভিড ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল। তাৎপর্যপুর্ণভাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন থেকে এদিন ‘কো-মর্বিডিটি’-তে মৃত্যুর তালিকাটি বাদ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যের বিবাদের পর থেকে যেই তালিকায় ৭২ জনের মৃত্যু দেখানো হচ্ছিল। তা আর বাড়েনি। অথচ মুছেও ফেলা হয়নি। এদিন সেই ৭২ জনকে একবারে করোনা মৃত্যুর তালিকায় আনা হয়েছে। উধাও হয়ে গেছে বিতর্কিত ওই ঘরটি।

সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রকাশিত বুলেটিনে জানান হয়েছে, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে আরও ৪২৬ জন নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৮ হাজার ৬১৩। মৃত ও সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের বাদ দিয়ে বর্তমানে ৪ হাজার ৭৪৩ জন করোনা আক্রান্ত রাজ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সুস্থ হয়ে ১৬২ জন বাড়ি ফিরেছেন। ফলে রাজ্যে মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা বেড়ে হল ৩ হাজার ৪৬৫। রাজ্যে সুস্থতার হার বর্তমানে ৪০.২২ শতাংশ। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯,০২৪টি স্যাম্পেল পরীক্ষা করা হয়েছে করোনার। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে ২,৮০,০৯৮টি করোনা ভাইরাসের স্যাম্পেল পরীক্ষা করা হয়েছে।

তবে কলাম তুলে দিলেও স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ৪০৫ জন রোগীর মধ্যে ২৬৬ জনেরই কোমর্বিডিটি ছিল। বাকি ১৩৯ জনের কোভিডই মৃত্যুর কারণ। কী ধরনের কোমর্বিডিটি ছিল ওই ২৬৬ জন রোগীর তাও  বুলেটিনে বলা হয়েছে, এঁদের কারও শরীরে উচ্চ রক্তচাপ ছিল, কারও ডায়াবেটিস ছিল, কারও হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বা সিওপিডি রোগী ছিলেন। তা ছাড়া কারও কিডনি খারাপ ছিল বলে ডায়ালিসিস চলছিল, কারও বা শরীরে ক্যান্সার ছিল ইত্যাদি। স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিন অনুযায়ী যে সব পুরুষ রোগীর মধ্যে কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের মধ্যে ২৭ শতাংশের শরীরে উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা রয়েছে। ১৯ শতাংশ রোগীর ডায়াবেটিস রয়েছে। ১৯ শতাংশের হৃদরোগ রয়েছে। তা ছাড়া ১০ শতাংশের সিকেডি, ৭ শতাংশের সিওপিডি এবং ৩ শতাংশের শরীরে ম্যালিগনেন্সি রয়েছে।মহিলা কোমর্বিড রোগীদের মধ্যে ২৯ শতাংশের হাইপারটেনশন রয়েছে। ২০ শতাংশের ডায়েবেটিস এবং ১৮ শতাংশের হৃদরোগ রয়েছে। তা ছাড়া ১১ শতাংশের সিকেডি এবং ৫ শতাংশের সিওপিডি রয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular