Homeএখন খবরপূর্ব রেলের দপ্তরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ জনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও নিরাপত্তার...

পূর্ব রেলের দপ্তরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯ জনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে মৌন মিছিল খড়গপুরের রেলকর্মীদের

এস কে দত্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার রাতে কলকাতার স্ট্যান্ডরোডে পূর্ব রেলের সদর দপ্তরে ভয়াবহ আগুন বে আব্রু করে দিয়েছে রেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আগুনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে রেলভবনের মানচিত্রটুকু হাতে পায়নি দমকল কর্মীরা। লিফট বেয়ে আগুন নেভাতে গিয়ে লিফট বিকল হয়ে মৃত্যু হয়েছে চার দমকলকর্মী গিরিশ দে, গৌরব বেজ, বিমান পুরোকায়েত এবং অনিরুদ্ধ জানার। কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছেন রেলের নিরাপত্তা রক্ষী এস কে দত্ত। মৃত্যূ হয়েছে খোদ রেলের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার পার্থ সারথী মন্ডল এবং হেয়ার স্ট্রীট থানার এ এস আই অমিত ভাওয়ালের।

এস কে দত্তের ঝলসে যাওয়া দেহ

নিহত সেই রেলকর্মচারী, দমকল ও পুলিশকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে খড়গপুরে রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে মোমবাতি মিছিল করা হয়। শোক মিছিল খড়গপুর ডিআরএম অফিসের সামনে থেকে বোগদা হয়ে খড়গপুর রেল স্টেশনের সামনে দিয়ে দীর্ঘ রাস্তা পরিক্রমা করে। রেলের কর্মচারীদের পাশাপাশি তাঁদের পরিবারবর্গকেও মিছিলে হাঁটতে দেখা যায়।

নিহত কলকাতা পুলিশ আধিকারিক অমিত ভাওয়াল

মিছিল শেষে রেলের প্রতিটি দপ্তরে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা উন্নততর করার দাবীও মেন্স ইউনিয়ন পক্ষ থেকে করা হয়। মিছিলে খড়গপুরের বিভিন্ন অফিসের রেল কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন রেলওয়ে মেন্স ইউনিয়নের নেতা সুকান্ত মল্লিক ও অভিজিৎ মল্লিক সহ বিভিন্ন ব্যক্তিত্ব।

সহকর্মীকে জড়িয়ে ধরে কান্না

মেন্স ইউনিয়নের নেতৃত্ব জানান, “এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বুঝিয়ে দিয়েছে যে কী অবস্থার মধ্যে দিয়ে কাজ করেন রেলকর্মীরা আর কী ধরনের নিরাপত্তা রয়েছে আমাদের। অত বড় অফিসে না ছিল পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা না কাজ করেছে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা। খোঁজ নিলে দেখা যাবে খড়গপুর ডি আর এম অফিস বা রেলের ওয়ার্কশপের করনিক বিভাগেরও একই অবস্থা। টন টন দলিল দস্তাবেজ কাগজপত্র ঢেকে রাখে কর্মীদের। কোথাও কোনো নূন্যতম অগ্নিসুরক্ষা বিধি মানা হয়না। অবিলম্বে যদি এই সব অবস্থার পরিবর্তন না করা হয় তবে এই জতুগৃহে আমরা সবাই রয়েছি।”

ডেপুটি সিএমএম পার্থ সারথী মন্ডল

কর্মীদের আরও অভিযোগ আউট সোর্সিংয়ের নামে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অফিসগুলির দেখভালের দায়িত্ব ঠিকাদারের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। কর্মীদের প্রতিবাদ, আপত্তি কানে তোলাই হচ্ছেনা। ফলে কারুরই কোনও দায়িত্ব থাকছেনা কোনও বিষয়ে। আর তারই ফসল হচ্ছে এই দুর্ঘটনা যার মাশুল দিতে হচ্ছে জীবন দিয়ে। রেল কর্তৃপক্ষের এই উদাসীনতার বিরুদ্ধে আগামী দিনে আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন খড়গপুর রেলের মেন্স ইউনিয়নের কর্তারা।

RELATED ARTICLES

Most Popular