Homeরাজ্যউত্তরবঙ্গপ্রতিষ্ঠা দিবসের দিনেই কোচবিহারে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ ১, গুরুতর...

প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনেই কোচবিহারে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ ১, গুরুতর জখম আরও এক

অশ্লেষা চৌধুরী: একদিকে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস, অপরদিকে নতুন বছরের প্রথম দিন। কিন্তু সবকিছুর মধ্যেই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়ালো শাসকদল। আর তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলে ছড়াল ব্যাপক উত্তেজনা। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ একজন ব্যবসায়ী ও গুরুতর আহত একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দিনহাটা থানার পুলিশ। যদিও একে গোষ্ঠী কোন্দল বলতে নারাজ শাসকদল।

জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় দিনহাটা ১নম্বর ব্লকের ওকড়াবাড়ি বাজার এলাকায় এক অনুষ্ঠান চলছিল। অভিযোগ সেই অনুষ্ঠান শেষ হতেই তৃণমূল কংগ্রেসের অপর পক্ষ অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙ্গচুর করে। পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙ্গচুর চালায়। ২ টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলেও অভিযোগ। ঘটনায় এক ব্যবসায়ী আল সাফ আলী গুলিবিদ্ধ হয় ও দিনহাটা থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার হামিদুর রহমান আহত অবস্থায় দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তৃণমূল কংগ্রেসের দিনহাটা ১ নম্বর ব্লক সভাপতি প্রসন্ন দেবশর্মার সাথে দলের স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে মতানৈক্য দেখা যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে ওকড়াবাড়ি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দুটি পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অভিযোগ, সেই অনুষ্ঠান শেষ হতেই তৃণমূল কংগ্রেসের অপর পক্ষ অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙ্গচুর করে, পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙ্গচুর চালায়। চলে ওকড়াবাড়ি বাজারে এলোপাথাড়ি গুলি। এরই জেরে গুলিতে আহত হয় পেশায় সবজি ব্যবসায়ী আল সাফ আলী। পাশাপাশি ডিউটি শেষ করে বাড়ী ফেরার পথে দিনহাটা থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার হামিদুর রহমানকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আল সাফ আলীর বাঁ হাত দিয়ে গুলি ঢুকে ডান হাত দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে ও সিভিক ভলেন্টিয়ারের মাথায় গুরুতর চোট লাগে। এই ঘটনার জেরে এলাকার বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া গোষ্ঠীর কর্মী সমর্থকরা দোষীদের শাস্তির দাবীতে ওকড়াবাড়ি বাজারের পথ অবরোধ করে। এলাকার তৃণমূল নেতা নূর আলম হোসেন এ বিষয়ে বলেন, “বিজেপির কিছু দুষ্কৃতিরা তৃণমূল কংগ্রেসের চামড়া গায়ে দিয়ে এই ধরনের জঘন্যতম ঘটনা ঘটিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কোন গোষ্ঠী কোন্দল নেই বলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন।”

বিধানসভা নির্বাচন আসতে আর বেশি দেরি নেই। এরই মধ্যে একাধিক নেতা মন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেক কর্মী-সমর্থকেরাও জোড়া ফুল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। তাঁর জেরে এমনিতেই শক্তি খর্ব হচ্ছে শাসকদলের। এর ওপর আবার এভাবে গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়ে দলের ভীতটা যে ভেতর থেকে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে তাইই নয়, জনসমক্ষে দলের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে এবং এর সরাসরি প্রভাব যে আসন্ন নির্বাচনে পড়বে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে ওয়াকিবহাল মহল।

RELATED ARTICLES

Most Popular