Homeএখন খবরআমেরিকা থেকে ফিরে শ্বশুরবাড়িতে ঘাপটি মেরে জামাই , করোনা আতঙ্কে থরহরি কম্প...

আমেরিকা থেকে ফিরে শ্বশুরবাড়িতে ঘাপটি মেরে জামাই , করোনা আতঙ্কে থরহরি কম্প খড়গপুর

নিজস্ব সংবাদদাতা: শ্বশুর ৬২,শাশুড়ি ৫৮,ঘরে দুটি বাচ্চার একটি ১১ অন্যটি আটের নিচে আর তারই মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে আছে জামাই বাবাজীবন। মাত্র ২দিন আগে করোনার অন্যতম মড়কের দেশ অমেরিকা থেকে ফিরেছেন। স্বাস্থ্যদপ্তরের সংগে যোগাযোগই করেননি অথচ সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে বিদেশ থেকে ফিরলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেণ্টাইনে থাকতেই হবে। কিন্তু সেটা হোম নাকি হাসপাতাল ঠিক করবেন স্বাস্থ্য দপ্তর কিন্তু খোঁজ নেই তাঁদের । আর তাতেই থরহরি কম্প খড়গপুর পুরসভার ১৬নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের।

বাসিন্দাদের অভিযোগ জামাই আর তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ঘুরছে ফিরছে , বাজার করছেন আর এরফলে যদি প্রতিবেশিদের কিছু হয়ে যায় তার দায় কে নেবে ? প্রতিবেশিদের অভিযোগ খবরটা পাওয়ার পরেই তারা পুলিশ , কাউন্সিলর সবাইকে শুক্রবার জানিয়েছিলেন কিন্তু কেউ কোনও ব্যবস্থা নেইনি। শনিবার প্রতিবেশিরা শ্বশুরবাড়ির সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

জামাইয়ের নিজের বাড়ি এই শহরের তালবাগিচাতে। পেশায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়র। কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। সেই সংস্থারই কাজে গিয়েছিলেন আমেরিকার টেক্সাস শহরে। সেখানে মাসাধিককাল ছিলেনও। বৃহস্পতিবার প্রথমে দিল্লি বিমানবন্দর এবং সেখান থেকে কলকাতা বিমান বন্দর হয়ে ফিরেছেন। বিমানবন্দরের ছাড়পত্র রয়েছে যে থার্মল স্ক্যানারে তাঁর কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি। অতএব তাঁর কোয়ারেণ্টাইনে যাওয়ার প্রয়োজনই নেই।

যদিও এই দাবি মানতে নারাজ জনতা । তাঁদের পাল্টা দাবি বাংলার প্রথম করোনা আক্রান্ত সরকারি আমলার ছেলেও তো লণ্ডন থেকে মুম্বই বিমানবন্দর ও কলকাতা বন্দর হয়েই ফিরেছিল। দুটোর কোনওটাতেই কোনও অস্বাভাবিকতা ধরা পড়েনি তারপরও তার করোনা ধরা পড়েছে । জনতার ভিড় বাড়তেই থাকে। অবশেষে স্বাস্থ্য দপ্তরের লোকেরা এসে কথা বলে জামাইয়ের সাথে। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আগামী ১৪দিন হোম কোয়ারেণ্টাইনে থাকার কথা বলে যায়। এরপর আপত্তি করেনি জনতা । শ্বশুরবাড়িতেই হোম কোয়ারেণ্টাইন! জনতা গুনগুন করতে করতে ফেরে , কী ভাগ্য জামাইয়ের ! আফটার অল জামাই বলে কথা ! এলাকার কুচুটে ছোকরার দল ফোড়ন কাটে, হোম কোয়ারেণ্টাইন না ছাই , আসলে ১৪দিনের ঘরজামাই!

RELATED ARTICLES

Most Popular