Homeআন্তর্জাতিককরোনায় মৃত্যু হল স্পেনের রাজকুমারীর, রাষ্ট্রীয় শোক পালনের উপায় নেই

করোনায় মৃত্যু হল স্পেনের রাজকুমারীর, রাষ্ট্রীয় শোক পালনের উপায় নেই


নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনা বিদ্ধস্ত স্পেনে এবার কোভিড-১৯ য়ের বলি হলেন সেদেশের রাজকুমারী মারিয়া টেরেসার । বিশ্বে তিনিই প্রথম কোনও রাজপরিবারের সদস্য, করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাঁর জীবনাবসান হল। ঘটনার দুঃসংবাদ ছড়িয়ে পড়েছে আগুনের মতই কিন্তু সেই শোক প্রকাশের জন্য সমবেত হওয়ার কোনও উপায় নেই। নিয়ম অনুযায়ী রাজ পরিবারের কোনও সদস্যর মৃত্যু হলে সেদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয় । যদিও এক্ষেত্রে সেই শোক ঘোষনা করা হলেও মানুষ সমবেত হতে পারছেননা অতিমারীর জন্য। প্রায় নীরবেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে তাঁর। পরিবারের গুটি কতক সদস্য , যাজক ছাড়া কারুরই থাকার উপায় নেই।

বর্তমানে স্পেনে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। স্পেনের অবস্থা এই মুহূর্তে ভয়াবহ। দেশে ইতিমধ্যে করোনার বলি হয়েছেন ৫ হাজার ৬৯০ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭২ হাজার। ভেঙে পড়েছে স্পেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, সুরক্ষা ও সতর্কতা সত্ত্বেও করোনা ঢুকে পড়ে রাজবাড়ির অন্দরে। আক্রান্ত হন বছর ছিয়াশির স্প্যানিশ রাজকন্যা মারিয়া টেরেসা। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। লড়ছিলেন মৃত্যুর সঙ্গে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। শুক্রবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর ভাই প্রিন্স সিক্সটাস হেনরি রাজকন্যার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।
রাজকন্যা মারিয়া টেরেসা ছিলেন বারবন-পার্মা রাজপরিবারের সদস্য। ১৯৩৩ সালে তিনি জন্মেছিলেন ফ্রান্সের প্যারিসে। জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই তিনি মাদ্রিদে কাটিয়েছেন। স্পেনের রাজনৈতিক আন্দোলন নিয়ে একসময় বহু লেখালেখি করেছেন তিনি।

স্পেনের পাশাপাশি ব্রিটিশ রাজপরিবারেও থাবা বসিয়েছে করোনা। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রিন্স চার্লস। রাজপরিবারের মুখপাত্র জানান, গত কয়েকদিন ধরে বাড়ি থেকেই কাজকর্ম করছিলেন প্রিন্স। করোনার সামান্য উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু শরীর মোটামুটি সুস্থই ছিল। তবে পরীক্ষার পর তাঁর শরীরে ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। আপাতত স্কটল্যান্ডে সেল্‌ফ আইসোলেশনে রয়েছেন চার্লস এবং তাঁর স্ত্রী তথা ডাচেস অফ কর্নওয়াল ক্যামিলা। তাঁর স্ত্রীয়ের শরীরে যদিও করোনার জীবাণু পাওয়া যায়নি।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় আগেই বাকিংহাম প্যালেস থেকে রানি এলিজাবেথকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল উইন্ডসর ক্যাসেলে। কিন্তু সেখানেও বিপন্মুক্ত থাকতে পারেননি তিনি। ক্যাসেলের এক কর্মীর শরীরে কোভিড-১৯ জীবাণু মেলায় রানিকে সেখান থেকেও স্থানান্তরিত করা হয়। তিনি অবশ্য সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন। এমনকী তিনি নিজেই স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরলস পরিশ্রমের জন্য তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সমস্ত রাষ্ট্র বিশেষ করে ইওরোপের যে সমস্ত দেশগুলিতে রাজতন্ত্র নিয়মমাফিক হলেও জনগনের কাছ থেকে যথোচিত মর্যাদা পেয়ে থাকে তেমনই ব্রিটেন, পর্তুগাল , ইতালি থেকে শোকবার্তা পাঠানো হয়েছে স্পেনে।

RELATED ARTICLES

Most Popular